সরকার আটটি খাতের ভ্যাট কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা দেশের সাধারণ ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের জন্য স্বস্তি নিয়ে এসেছে। আজ বুধবার (২২ জানুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, মুঠোফোনের টকটাইম, রেস্তোরাঁ বিল, ওষুধসহ নন-এসি হোটেল, মিষ্টান্ন ভাণ্ডার এবং নিজস্ব ব্র্যান্ডের তৈরি পোশাক বিপণনের ক্ষেত্রে ভ্যাট কমানো হয়েছে।
নন-এসি হোটেল এবং মিষ্টির দোকানে ভ্যাট হার ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। যদিও এই হার আগের ৭.৫ শতাংশ থেকে আড়াই শতাংশ বেশি। নিজস্ব ব্র্যান্ডের তৈরি পোশাকেও ভ্যাটের হার ১৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।
মুঠোফোন ব্যবহারকারীদের জন্য সিম বা রিম কার্ডের ওপর আরোপিত সম্পূরক শুল্ক ২৩ শতাংশ থেকে আগের ২০ শতাংশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। একইভাবে, ইন্টারনেট সেবাদাতা সংস্থাগুলোর (আইএসপি) ওপর আরোপিত ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্কও পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়েছে।
রেস্তোরাঁর খাবারের বিলের ওপর ভ্যাট আগের ৫ শতাংশ হারেই বহাল রাখা হয়েছে। নতুন অধ্যাদেশে এই হার ১৫ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছিল, যা এখন প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ওষুধ শিল্পেও একই ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে। স্থানীয় ওষুধ প্রস্তুতকারীদের ওপর ভ্যাট ৩ শতাংশ থেকে কমিয়ে আগের ২.৪ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। এতে ওষুধের দাম বাড়ার কোনো আশঙ্কা নেই বলে এনবিআর জানিয়েছে।
প্রায় ১০০ পণ্য ও সেবায় ভ্যাট বাড়ানোর পর দেশব্যাপী সমালোচনা এবং কিছু ব্যবসায়ী খাতের আন্দোলনের মুখে এনবিআর এই পরিবর্তন আনতে বাধ্য হয়। যদিও অনেক পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে বাড়তি ভ্যাট বহাল রাখা হয়েছে।
এছাড়া মোটর গ্যারেজ ও ওয়ার্কশপেও ভ্যাট কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। এসব পরিবর্তন ভোক্তাদের ওপর অর্থনৈতিক চাপ কমাবে এবং ব্যবসা খাতে স্থিতিশীলতা আনবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এ সিদ্ধান্ত দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক হতে পারে বলে এনবিআরের বিশ্বাস। একই সঙ্গে ভোক্তা এবং ব্যবসায়ী উভয়ের জন্য এটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে প্রশংসিত হয়েছে।