মিয়ানমারের সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ, রক্তাক্ত যুদ্ধ শেষে আরাকান আর্মির বিজয়
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে কয়েক মাসের অবরোধ এবং তীব্র সংঘর্ষের পর সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর সীমান্ত রক্ষী পুলিশ ব্যারাক (বিজিপি-৫) দখল করে সংগঠনটি। এই ঘটনার ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে ২৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত পুরোপুরি মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।
রাখাইন রাজ্যের গৃহযুদ্ধটি সাম্প্রতিক সময়ে ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী পর্যায়ে পৌঁছায়। আরাকান আর্মি এবং মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর মধ্যে এই সংঘর্ষ দীর্ঘদিন ধরে চলছিল, তবে বিজিপি ব্যারাক দখল করার ঘটনাটি সংঘাতের গতিপথে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
সীমান্তে এমন দখলের কারণে বাংলাদেশের নিরাপত্তা এবং সীমান্ত পরিস্থিতি নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। অন্যদিকে, রাখাইনে আরাকান আর্মির এই সাফল্য বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর শক্তি ও প্রভাব বৃদ্ধির প্রতীক।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এই বিজয় আন্তর্জাতিক চাপকে আরও বাড়াতে পারে মিয়ানমারের সামরিক শাসনের ওপর এবং একই সঙ্গে অঞ্চলে বিদ্যমান শান্তি প্রক্রিয়া আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে।