মাস্ক-রুবিও দ্বন্দ্ব প্রত্যাখ্যান করলেন ট্রাম্প
সম্প্রতি হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত একটি বৈঠকে ইলন মাস্ক ও মার্কো রুবিওর মধ্যে তুমুল বাকবিতণ্ডা হয়েছে বলে নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়। তবে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বৈঠকে বিদেশসচিব মার্কো রুবিও ইলন মাস্কের কাছে সরকারি কর্মীদের ছাঁটাই বিষয়ে প্রশ্ন করেন। জবাবে মাস্ক বিদেশ দফতরের অতিরিক্ত খরচের প্রসঙ্গ তোলেন এবং জানান, প্রথম ৪৫ দিনে ট্রাম্প প্রশাসন বিদেশ দফতরের কোনো কর্মীকে বরখাস্ত করেনি। রুবিও এই দাবি খারিজ করে জানান, ইতিমধ্যে তাঁর দফতরের প্রায় দেড় হাজার কর্মী আগাম অবসরের আবেদন করেছেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই ধরনের বাকবিতণ্ডার খবরকে ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, বৈঠকটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ ছিল এবং সেখানে কোনো ধরনের উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। ট্রাম্প আরও জানান, ইলন মাস্ক তাঁর দায়িত্বে চমৎকার কাজ করছেন এবং তাঁকে আরও আক্রমণাত্মক হতে উৎসাহিত করেন।
ইলন মাস্ক বর্তমানে সরকারি দক্ষতা বিভাগ (ডিওজিই)-এর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই বিভাগের লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যয় হ্রাস করা এবং সরকারি কার্যক্রমে দক্ষতা বৃদ্ধি করা। মাস্কের নেতৃত্বে ডিওজিই ইতিমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে সরকারি কর্মীদের কাজের মূল্যায়ন এবং অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানো উল্লেখযোগ্য।
বিদেশসচিব মার্কো রুবিও সরকারি কর্মীদের ছাঁটাই বিষয়ে সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন। তিনি মনে করেন, হঠাৎ করে বড় পরিসরে কর্মী ছাঁটাই বিদেশ দফতরের কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তবে, তিনি সরকারি ব্যয় কমানোর প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেন এবং এ বিষয়ে সমন্বিত পদক্ষেপের ওপর জোর দেন।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে ইলন মাস্ক ও মার্কো রুবিওর মধ্যে বাকবিতণ্ডার দাবি করা হলেও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বৈঠককে ফলপ্রসূ হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং ইলন মাস্কের কাজের প্রশংসা করেছেন। সরকারি ব্যয় হ্রাস ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রশাসনের এই প্রচেষ্টা চলমান থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।