মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টা ইলন মাস্ক ফেডারেল কর্মীদের কাছে গত সপ্তাহের কাজের তালিকা পাঠানোর নির্দেশ দিয়ে ই-মেইল করেছেন। এতে বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জবাব না দিলে তা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ হিসেবে গণ্য হবে। এই ই-মেইল ফেডারেল প্রশাসনে ব্যাপক অস্থিরতা তৈরি করেছে, যেখানে বেশ কিছু সংস্থা কর্মীদের মাস্কের নির্দেশ এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফবিআই) ও পররাষ্ট্র দফতরের ট্রাম্প-নিযুক্ত কর্মকর্তারা কর্মীদের সতর্ক করে বলেছেন, ‘চেইন অব কমান্ড’-এর বাইরের কারও নির্দেশ মানতে হবে না। এফবিআই পরিচালক কাশ প্যাটেল স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন, সংস্থার কার্যক্রমের পর্যালোচনার দায়িত্ব শুধু পরিচালকের কার্যালয়ের।
ফেডারেল কর্মীদের স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় ই-মেইল পাঠানো হয়, যেখানে বলা হয়, সোমবার রাত ১১:৫৯-এর মধ্যে কাজের বিস্তারিত প্রতিবেদন দিতে হবে। এই নির্দেশ আসার কয়েক মিনিট আগেই মাস্ক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছিলেন, “জবাব না দিলে চাকরি স্বেচ্ছায় ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বলে বিবেচিত হবে।”
এই পরিস্থিতিতে প্রতিরক্ষা, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি, শিক্ষা, বাণিজ্য, স্বাস্থ্য, ও অভ্যন্তরীণ রাজস্ব পরিষেবার মতো গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাগুলো তাদের কর্মীদের মাস্কের ই-মেইলের জবাব না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। ন্যাশনাল সেন্টারস ফর এনভায়রনমেন্টাল ইনফরমেশনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এই নির্দেশকে “নিয়মবহির্ভূত ও অপ্রত্যাশিত” বলে অভিহিত করেছেন।
তবে মাস্কের এই পদক্ষেপ কিছু রিপাবলিকান কর্মকর্তার প্রশংসা কুড়িয়েছে। ওয়াশিংটন ডিসির অ্যাটর্নি পদে ট্রাম্প-মনোনীত এড মার্টিন মাস্কের নেতৃত্বকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম ফেডারেল শ্রমিক ইউনিয়ন এএফজিই স্পষ্ট করেছে যে, মাস্কের এই নির্দেশ মানতে তারা বাধ্য নয় এবং তারা আনুষ্ঠানিকভাবে ই-মেইল প্রত্যাহারের দাবি জানাবে। সংগঠনটি ঘোষণা দিয়েছে, “যেকোনো বেআইনি চাকরিচ্যুতি চ্যালেঞ্জ করা হবে।”
এই ইস্যুতে ট্রাম্প প্রশাসন ও ফেডারেল কর্মীদের মধ্যে টানাপোড়েন আরও বাড়তে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
(তথ্যসূত্র: রয়টার্স)