মন্ত্রণালয় পর্যায়ে বাস্তবায়নযোগ্য সংস্কার দ্রুত সম্পন্নের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের যেসব সুপারিশ মন্ত্রণালয়গুলোর নিজ উদ্যোগে দ্রুত বাস্তবায়ন সম্ভব, সেগুলো বাস্তবায়নে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমিশনের বিভিন্ন প্রস্তাবের মধ্যে যেসব বিষয় সংবিধান সংশোধন বা বৃহৎ পর্যায়ের সংস্কারের সঙ্গে সম্পৃক্ত, সেগুলো নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে কাজ করছে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। তবে মন্ত্রণালয়ভিত্তিক যেসব প্রস্তাব দ্রুত বাস্তবায়ন সম্ভব, তা দ্রুত কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
গত ১৬ জুন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের মোট ১৮টি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। এর মধ্যে আটটি অপেক্ষাকৃত সহজ ও তাৎক্ষণিক বাস্তবায়নযোগ্য সংস্কার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
এই আটটি প্রস্তাব হলো—
- মহাসড়কের পেট্রোল পাম্পগুলোতে স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার স্থাপন
- মন্ত্রণালয়গুলোর ওয়েবসাইটকে আরও আধুনিক ও ব্যবহারবান্ধব (ডায়নামিক) করা
- সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে কলেজ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি গঠন
- কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিচালনার কাঠামো ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধি
- সব সরকারি দপ্তরে গণশুনানি চালু রাখা
- তথ্য অধিকার আইন ও অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট পর্যালোচনা ও প্রয়োজন অনুযায়ী সংশোধন
- বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (BBS) পুনর্গঠন
- ডিজিটাল রূপান্তর ও ই-সেবার সম্প্রসারণ
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ নিজস্ব বাস্তবায়ন টিম গঠন করে সময়সীমা নির্ধারিত কার্যক্রম হাতে নেবে। এসব উদ্যোগ তদারকির জন্য প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিবের অধীনে গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিট (জিআইইউ) থেকে একটি তদারকি টিম সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করবে। পাশাপাশি, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগও এই সংস্কার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও সহায়তায় থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সামগ্রিকভাবে সরকারি প্রশাসনকে দক্ষ, জনমুখী ও সুশাসনসম্মত করার লক্ষ্যে ভবিষ্যতেও নিয়মিতভাবে এই ধরনের সমন্বয় সভা আয়োজন করা হবে।
উল্লেখযোগ্য যে, গত কয়েক মাসে ৫৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগে মিলিয়ে মোট ১ হাজার ৬১টি সংস্কার ও উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, যা অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কর্মসূচির একটি বড় অগ্রগতি বলে মনে করা হচ্ছে।