মঙ্গলবার, ১১ই মার্চ, ২০২৫| রাত ৩:১২

ভোলার গ্যাস এলএনজিতে রূপান্তর করে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহের পরিকল্পনা

প্রতিবেদক
staffreporter
ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৫ ১০:৫০ পূর্বাহ্ণ
ভোলার গ্যাস এলএনজিতে রূপান্তর করে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহের পরিকল্পনা

ভোলার গ্যাস এলএনজিতে রূপান্তর করে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহের পরিকল্পনা

ভোলায় উত্তোলিত গ্যাস সরাসরি জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা সম্ভব না হওয়ায় সেটিকে সিএনজির বদলে এলএনজিতে রূপান্তর করে সরবরাহের পরিকল্পনা করছে অন্তর্বর্তী সরকার। ভোলার সঙ্গে জাতীয় গ্রিডের কোনো পাইপলাইন সংযোগ না থাকায় বর্তমানে এই গ্যাস ব্যবহার করা যাচ্ছে না, ফলে অতিরিক্ত গ্যাস অপচয় হচ্ছে।

জ্বালানি সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, ভোলা থেকে এলএনজিতে রূপান্তর করে গ্যাস আনার পরিকল্পনা রয়েছে এবং এটি আশুগঞ্জের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত করা হবে।

এর আগে, সাবেক সরকারের সময় এ নিয়ে আলোচনা হলেও এলএনজি রূপান্তরকে লাভজনক মনে করা হয়নি। পরিবর্তে, একটি নির্দিষ্ট কোম্পানিকে সিএনজির মাধ্যমে সীমিত পরিসরে গ্যাস আনার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, যা এখন বিতর্কের মুখে পড়েছে।

ভোলায় রাশিয়ার গ্যাজপ্রম এবং বাপেক্সের করা অনুসন্ধানে বিশাল পরিমাণ গ্যাসের মজুত পাওয়া গেছে। ভোলার চাহিদা মেটানোর পর প্রতিদিন ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে সরবরাহ করতে হলে এলএনজিতে রূপান্তরের জন্য প্ল্যান্ট স্থাপন, ছোট আকারের এলএনজি জাহাজের ব্যবস্থা এবং আশুগঞ্জে রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট বসানোর প্রয়োজন হবে।

বাপেক্সের তথ্য অনুযায়ী, ভোলায় ৫.১০৯ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ) গ্যাসের মজুত রয়েছে, যার বাজার মূল্য সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকা। দেশের স্থলভাগে বড় মজুতের সন্ধান না পাওয়ায় ভোলা এখন গ্যাস সরবরাহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎস হয়ে উঠেছে। অপরদিকে, সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে আগ্রহের অভাব এবং সময়সাপেক্ষ বিডিং প্রক্রিয়ার কারণে সামনের কয়েক বছরে নতুন উৎস থেকে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা কম।

বর্তমানে দেশে প্রতিদিন ২৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়, যার মধ্যে ৭৫০-৮০০ মিলিয়ন ঘনফুট আমদানি করা হয় এবং বাকিটা আসে দেশীয় খনি থেকে। ভোলার গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলে গ্যাস সংকট কিছুটা হলেও কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - সর্বশেষ