বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’তে যোগ দিতে ভোর থেকেই শহীদ মিনারে আসতে শুরু করেছে সারা দেশের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ৭টার মধ্যে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে উত্তরের বিভিন্ন জেলা—পঞ্চগড়, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর এবং অন্যান্য জেলার শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল, ফ্যাসিবাদবিরোধী শপথে সারা দেশের মানুষ এক হওয়ার শপথ নেবেন এবং গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করবেন।
শিক্ষার্থীরা দাবি করেছেন, আন্দোলনটির লক্ষ্য সরকারের নিপীড়নমূলক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে সংগ্রাম এবং জনগণের অধিকারের প্রতি রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা প্রতিষ্ঠা। তারা শহীদ মিনারের সামনে আসেন জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। এর আগে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র’ নিয়ে দেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক আলোচনা চলে। এই ঘোষণাপত্র নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তর্কবিতর্ক শুরু হয় এবং রাজনীতিতে উত্তাপ বাড়ে, যার ফলে সাধারণ জনগণের মধ্যে বিষয়টির গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তাদের অবস্থান পরিষ্কার করে জানায় যে, তারা ঘোষণাপত্রের বিষয়টি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে তুলে ধরতে চাইছে, এবং সকলের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্য ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি আয়োজন করছে। আন্দোলনকারীরা এটিকে একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন যা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিবাদ হিসেবে গণ্য হবে।
সোমবার রাত পৌনে ২টার দিকে, রাজধানীর বাংলামোটরে নিজেদের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সেখানে ঘোষণা করা হয়, মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি পালন করা হবে। তারা আরও জানান, এটি একটি সমাবেশ এবং কর্মসূচি হবে, যাতে দেশের সব অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করবেন এবং ঐক্যের শপথ নেবেন।