জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ভর্তি পরীক্ষায় ভিসি কোটা, মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা বাতিল এবং পোষ্যকোটা সংস্কারের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আজ রবিবার (১ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে ৪৯ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী কাউসার আলম আরমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৫০ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জিয়াউদ্দিন আয়ান। তিনি বলেন, “কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছি। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কার হওয়া উচিত, বিশেষ করে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষায় বৈষম্যমূলক কোটা পদ্ধতির সংস্কার করা প্রয়োজন। আমরা দেখেছি, একজন মেধাবী শিক্ষার্থী প্রায় ৭০% নম্বর পেয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায় না, কিন্তু একজন কোটা সুবিধাভোগী ৩০% নম্বর পেয়ে ভর্তি হতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই, আসন্ন ভর্তি পরীক্ষার আগেই এই বৈষম্যমূলক কোটা পদ্ধতি সংস্কার করতে হবে, নাহলে আপনাদের গদিতে টিকে থাকা সম্ভব হবে না। আমরা কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছি, এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় কোটা পদ্ধতি সংস্কার না করলে আপনাদেরও হটাতে বাধ্য হব।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জুবায়ের শাবাব বলেন, “একজন শিক্ষার্থী ৬০ নম্বর পেয়ে ভর্তি হতে পারেন না, অথচ মাত্র ২৬ নম্বর পেয়ে পোষ্যকোটাধারীরা ভর্তি হয়ে যাচ্ছেন। এই বৈষম্য জাহাঙ্গীরনগরে চলবে না। যদি পোষ্যকোটা রাখতে হয়, তবে সেটি যৌক্তিক সংস্কার করে রাখতে হবে।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা দেখেছি, যারা পোষ্যকোটা দিয়ে ভর্তি হয়, তাদের অনেকেই ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালায়। তারা জাহাঙ্গীরনগরের পরিবেশে বেড়ে ওঠে, ক্যাম্পাসের সব বিষয় জানে এবং শিক্ষার্থী হয়ে সেই বিষয়গুলো কাজে লাগায়। তারা মাদক সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজি সিন্ডিকেটসহ সব ধরনের অপকর্মে জড়িত থাকে।”
মানববন্ধনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তাদের দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানান।