ভিটামিন ডি-এর ঘাটতির লক্ষণ: ত্বক ও পায়ে যেসব সংকেত দিচ্ছে আপনার শরীর
ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পুষ্টি উপাদান। হাড় মজবুত রাখতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখতে এর ভূমিকা অপরিসীম। কিন্তু অনেকেই রোদে না বের হওয়া, দুধজাত পণ্যে এলার্জি বা আমিষ কম খাওয়ার কারণে এই ভিটামিনের ঘাটতিতে ভুগে থাকেন। শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি না থাকলে সেটি ত্বক ও পায়ের মাধ্যমে কিছু লক্ষণ দিয়ে জানান দেয়। চলুন জেনে নিই, সেসব লক্ষণ কী:
ধীরে ক্ষত নিরাময়
ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি থাকলে শরীরের ক্ষত স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক ধীরে সারে। কারণ, এই ভিটামিনটি ত্বকের কোষ পুনরায় গঠন ও ক্ষত সারাতে সহায়তা করে। যদি দেখা যায় কোনো কাটা, ঘা বা স্ক্র্যাচ দীর্ঘদিনেও ঠিক হচ্ছে না বা সহজেই সংক্রমিত হচ্ছে, তবে তা ভিটামিন ডি-এর ঘাটতির ইঙ্গিত হতে পারে।
ত্বকে চুলকানি ও রুক্ষতা
ত্বকে ক্রমাগত চুলকানি, শুষ্কতা, খসখসে ভাব বা একজিমার মতো সমস্যা হতে পারে এই ভিটামিনের ঘাটতিতে। কারণ এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং জ্বালাপোড়া থেকে রক্ষা করে। ঘাটতির ফলে ত্বক নিজেকে পুনরুদ্ধার করতে পারে না, হয়ে পড়ে রুক্ষ ও পাতলা।
নিষ্প্রভ বা ফ্যাকাশে ত্বক
ভিটামিন ডি-এর অভাব ত্বককে নিস্তেজ ও ফ্যাকাশে করে তোলে। এটি ত্বকের রং বজায় রাখা এবং মেলানিন উৎপাদনে ভূমিকা রাখে। তাই দীর্ঘ সময় ধরে ত্বক ফ্যাকাশে বা প্রাণহীন মনে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
পায়ে ব্যথা ও দুর্বলতা
যদি সিঁড়ি বেয়ে উঠতে বা বসা অবস্থান থেকে দাঁড়াতে কষ্ট হয়, তবে সেটাও হতে পারে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতির লক্ষণ। এই অভাবে পায়ে ব্যথা, হাড় দুর্বল হয়ে যাওয়া, পেশী দুর্বলতা এমনকি শিশুদের ক্ষেত্রে রিকেট বা হাড় বিকৃতির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
অতিরিক্ত ঘাম
বিশেষ করে মাথা ও মুখে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া ভিটামিন ডি-এর ঘাটতির প্রাথমিক একটি লক্ষণ। অনেক সময় আমরা এটিকে ক্লান্তি বা সাধারণ ঘাম ভেবে এড়িয়ে যাই, কিন্তু এটি শরীরের ভেতরের ঘাটতির সংকেত হতে পারে।
✅ আপনার মধ্যে এসব লক্ষণ দেখা দিলে একজন চিকিৎসকের পরামর্শে রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ভিটামিন ডি-এর মাত্রা জেনে নেওয়া উচিত। সময়মতো সচেতন না হলে এসব ছোট লক্ষণ ভবিষ্যতে বড় বিপদের কারণ হতে পারে।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া