মানসিক শান্তির পাশাপাশি ভালো ঘুমের জন্য বালিশের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেউ শক্ত বালিশে ঘুমাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, আবার কেউ নরম বালিশ পছন্দ করেন। তবে কোনটি বেশি উপকারী?
শক্ত বালিশের কিছু সুবিধা রয়েছে। এটি ঘাড় ও মেরুদণ্ডকে সঠিক অবস্থানে রাখতে সাহায্য করে এবং স্পন্ডিলোসিসের ঝুঁকি কমায়। শক্ত বালিশ দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং ঘাড় বাঁকা হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। তবে যাঁরা নরম বালিশে অভ্যস্ত, তাঁদের জন্য শক্ত বালিশে ঘুমানো কষ্টকর হতে পারে এবং অনেক সময় ঘাড়ে ব্যথাও হতে পারে।
অন্যদিকে, নরম বালিশে মাথা রাখলে অনেকেই আরাম অনুভব করেন। এটি মাথার ওপর বাড়তি চাপ কমিয়ে দেয় এবং ঘুমাতে সাহায্য করে। তবে অতিরিক্ত নরম বালিশে শ্বাসনালিতে চাপ পড়তে পারে, ঘাড় বাঁকা হওয়ার ঝুঁকি থাকে এবং শিরদাঁড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ঘুমের ধরন অনুযায়ী বালিশ নির্বাচন করা উচিত। চিৎ হয়ে ঘুমালে মাঝারি শক্ত বালিশ, কাত হয়ে ঘুমালে তুলনামূলক নরম বালিশ, আর উপুড় হয়ে ঘুমালে একেবারে নরম বালিশ ব্যবহার করা ভালো।
প্রতি ১-২ বছর অন্তর বালিশ পরিবর্তন করা উচিত। শিশুদের নরম বালিশে না শোয়ানোই ভালো, কারণ এতে শ্বাসনালিতে চাপ পড়তে পারে। তবে ব্যক্তিগত প্রয়োজন ও শারীরিক অবস্থার ভিত্তিতে উপযুক্ত বালিশ নির্বাচন করা ভালো, যা বিশেষজ্ঞরাই সঠিকভাবে পরামর্শ দিতে পারবেন।