সোমবার, ১০ই মার্চ, ২০২৫| বিকাল ৫:৪৯

ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশের সামনে বিরাট বিপর্যয়, অশনি সংকেত দিল নাসা

প্রতিবেদক
staffreporter
ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৫ ৭:১৫ অপরাহ্ণ
ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশের সামনে বিরাট বিপর্যয়, অশনি সংকেত দিল নাসা

ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশের সামনে বিরাট বিপর্যয়, অশনি সংকেত দিল নাসা

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে এক বিশাল গ্রহাণু, যা সম্ভাব্য ভয়াবহ বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে বলে সতর্ক করেছে নাসা। যদিও আগেও পৃথিবীর কাছাকাছি অনেক গ্রহাণু এসেছে এবং শেষ মুহূর্তে দিক পরিবর্তন করে চলে গেছে, তবে এবার নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন এক ভিন্ন তথ্য।

নাসার গবেষণা অনুযায়ী, এই গ্রহাণুটি কেবল পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে না, বরং এটি তার আকার ক্রমেই বৃদ্ধি করছে। এর ফলে যখন এটি পৃথিবীর কাছাকাছি পৌঁছাবে, তখন এর আকার আরও বড় হতে পারে, যা মারাত্মক বিপর্যয়ের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলছে। বিজ্ঞানীদের মতে, এই মুহূর্তে পৃথিবীতে আঘাত হানার সম্ভাবনা ১ শতাংশ, তবে তা দ্রুত ২ থেকে ৩ শতাংশে পৌঁছে যেতে পারে। এমনটি হলে গ্রহাণুটিকে প্রতিহত করা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠবে।

নাসার তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে গ্রহাণুটির ব্যাস প্রায় ২০০ মিটার। তবে এটি যদি আরও বড় হয়ে ওঠে, তাহলে এর ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা কয়েক গুণ বেড়ে যাবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি এটি পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষে আসে, তাহলে এর শক্তি ৫০০টি পারমাণবিক বোমার সমতুল্য হবে, যা বিরাট ধ্বংসযজ্ঞ ঘটাতে পারে।

বিশেষ করে ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর জন্য এটি ভয়াবহ ক্ষতির কারণ হতে পারে। নাসার বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, প্রশান্ত মহাসাগর, দক্ষিণ সাগর এবং আরব সাগরের নিকটবর্তী এলাকায় গ্রহাণুটি আছড়ে পড়তে পারে। এমনটি হলে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ছাড়াও সুদান, নাইজেরিয়া, ভেনেজুয়েলা, কলম্বিয়া ও ইকুয়েডরের মতো দেশেও মারাত্মক ক্ষতি হবে।

২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রথমবারের মতো এই গ্রহাণুর অস্তিত্ব শনাক্ত করা হয়। তবে এটি ঠিক কবে পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে, সে সম্পর্কে এখনও কোনো নিশ্চিত তথ্য দেয়নি নাসা। তবে এটি প্রচণ্ড গতিতে ধেয়ে আসছে, ফলে পৃথিবীর কাছাকাছি আসতে বেশি সময় লাগবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।

তবে এই ধরনের গ্রহাণু আগে অনেকবার পৃথিবীর দিকে এসেছে, কিন্তু শেষ মুহূর্তে দিক পরিবর্তন করে অন্যদিকে চলে গেছে, অথবা পৃথিবীর কাছাকাছি এসেও কোনো ক্ষতি না করেই অতিক্রম করেছে। এবারও কি তেমন কিছু ঘটবে, নাকি সত্যিই এই গ্রহাণু বিপর্যয় ডেকে আনবে—এটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। বিজ্ঞানীরা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন, তবে বিশ্বজুড়ে এই নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - সর্বশেষ