আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে বহিঃসমর্পণের অনুরোধ জানানো হয়েছে। তবে ভারত চিঠির জবাব না দিলেও বিচার প্রক্রিয়া তার নিজস্ব গতিতে চলবে।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, "বহিঃসমর্পণ চুক্তি অনুযায়ী ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এখন দেখা যাক, ভারত এ ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও তারা জবাব না দিলেও বিচার প্রক্রিয়ার গতি থামবে না।"
শেখ হাসিনাসহ অন্যান্য পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তাজুল ইসলাম জানান, এ দায়িত্ব আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর নির্ভরশীল। তিনি বলেন, "গ্রেপ্তারের বিষয়ে প্রসিকিউশন বা তদন্ত সংস্থা সরাসরি কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে না। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যখন আসামিদের গ্রেপ্তার করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করবে, তখনই পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু হবে। এ বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা থাকলে সেটা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকেই পাওয়া যাবে।"
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে ট্রাইব্যুনালে সুপিরিয়র কমান্ড রেস্পন্সিবিলিটির আওতায় বেশ কিছু মামলার কাজ চলছে। "আমরা দিনরাত কাজ করছি। ইতোমধ্যে অগ্রগতি হয়েছে, এবং দ্রুততম সময়ে কিছু মামলার প্রতিবেদনও প্রস্তুত হবে। তদন্তের জন্য যে সময় প্রয়োজন তা নেওয়া হচ্ছে, কারণ এটি নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করার জন্য বিভিন্ন সূত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই করা জরুরি।"
তাজুল ইসলাম আশা প্রকাশ করে বলেন, "গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত দ্রুত শেষ হবে এবং তা জনসমক্ষে উন্মোচিত হবে।"
তিনি আরও বলেন, "এই তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া ন্যায়বিচারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, এবং এটি চালিয়ে যেতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।"