ভারতের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং অর্থনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে 'দেশ বাঁচাও' আন্দোলন এক নতুন রূপ নিয়েছে। মোদি সরকারের পরিচালনায় ভারতের কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক এক গভীর সঙ্কটে পড়েছে। বিশেষ করে, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতীয় সম্পর্কের অবনতি ভারতীয় রপ্তানিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে, যা দেশটির অর্থনীতিকে আরও সংকুচিত করছে।
প্রতিবছর বাংলাদেশ ভারতকে ১৬ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠায়, যা ভারতের মোট আয়ের একটি বড় অংশ। কিন্তু মোদি প্রশাসনের কূটনৈতিক ভুল এবং শত্রুতামূলক নীতির কারণে বাংলাদেশের জনগণ ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে। ফলে, বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্যের বিরুদ্ধে 'ভারত হটাও' আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করেছে এবং দেশব্যাপী মানুষ ভারতীয় পণ্য কেনা বন্ধ করেছে। এই বর্জনের ফলে ভারতের ব্যবসায়ীদের জন্য একটি বড় সংকট সৃষ্টি হয়েছে, বিশেষ করে পণ্যের রপ্তানি এবং বাজারে তাদের শেয়ার ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়ছে। ভারতের প্রাক্তন মন্ত্রী পুর্নেন্দু বসু বলেন, "আমরা চাই দেশে গণতন্ত্র বাঁচুক, তবে নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরাতে হবে।" তার এই বক্তব্য আসন্ন নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের তীব্র সমালোচনার অংশ হিসেবে উঠে এসেছে। রাজনৈতিক দলগুলো মোদি সরকারের বিরুদ্ধে 'মোদি হটাও' স্লোগান দিচ্ছে, এবং ভারতের বিভিন্ন শহরে পোস্টার ও ব্যানারে ভরে উঠেছে "মোদি হটাও, দেশ বাঁচাও" শীর্ষক নানা বার্তা। এই আন্দোলন মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখা যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির কারণে ভারতের পণ্য রপ্তানি হ্রাস পাচ্ছে, যার ফলে দেশটির ব্যবসায়ীদের মধ্যে হতাশা এবং ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে। কৃষকরা এই পরিস্থিতি থেকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, কারণ তারা ভারতীয় পণ্যের বাজারে প্রবাহিত হতে পারে না। একইভাবে, সাধারণ জনগণও এই নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে, যা মোদি প্রশাসনের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া, ভারতের স্থানীয় রাজ্যগুলিতে বড় ধরনের রাজনৈতিক আন্দোলন শুরু হয়েছে। মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক জনরোষ দেখা যাচ্ছে, এবং সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে সারা দেশে আন্দোলন জোরদার হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মোদি সরকার এখন এক কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি, যেখানে আগামী নির্বাচনে তার পদত্যাগের দাবির সাথে সাথে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য সরকারকে নতুনভাবে কাজ করতে হবে।