ভারত এবং বাংলাদেশের সামরিক সম্পর্ক আগের মতোই অব্যাহত থাকলেও, দুই দেশের সার্বিক সম্পর্ক বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসার পর আরো মসৃণ ও স্বাভাবিক হবে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ভারতীয় সেনাবাহিনীর বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ভারতীয় সেনাপ্রধান জানান, “বাংলাদেশ ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদার। দুই দেশের মধ্যে কোনো ধরনের শত্রুতা কোনো পক্ষের জন্যই ভালো নয় এবং এটি কারো স্বার্থে সহায়ক হবে না।” তিনি আরও বলেন, “আমরা প্রতিবেশী। আমাদের একে অপরকে বুঝতে হবে, সহযোগিতা করতে হবে এবং একসঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে বাস করতে হবে। একে অপরের প্রতি শত্রুতা কোনোভাবেই কাম্য নয়।”
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, দুই দেশের সামরিক সম্পর্ক বর্তমানে খুবই সুসংহত রয়েছে। তবে দুই দেশের সার্বিক সম্পর্কের কথা বললে, তিনি মন্তব্য করেন, “যখন নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসবে, তখন দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে।”
ভারতের সেনাপ্রধান জানান, বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। গত আগস্টে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিবর্তনের সময়ও তাদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল। এমনকি নভেম্বরের ২৪ তারিখেও তাদের মধ্যে ভিডিও কনফারেন্সে আলোচনা হয়েছিল।
বিগত সময়ে দুটি দেশের যৌথ সামরিক মহড়াগুলি শুধুমাত্র বর্তমানে পিছিয়ে রাখা হয়েছে, তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার তা চালু হবে বলে জানান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। তিনি উল্লেখ করেন যে, দুই দেশের মধ্যে একে অপরের সেনাবাহিনী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।