মঙ্গলবার, ১লা জুলাই, ২০২৫| সকাল ৬:৪৮

ভারতের পরাজয় কখনো ভুলবে না: সাম্প্রতিক সংঘাত নিয়ে বক্তব্য প্রধানমন্ত্রীর

প্রতিবেদক
staffreporter
মে ২৩, ২০২৫ ৪:৪৪ অপরাহ্ণ
ভারতের পরাজয় কখনো ভুলবে না: সাম্প্রতিক সংঘাত নিয়ে বক্তব্য প্রধানমন্ত্রীর

ভারতের পরাজয় কখনো ভুলবে না: সাম্প্রতিক সংঘাত নিয়ে বক্তব্য প্রধানমন্ত্রীর

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘাতকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ মন্তব্য করেছেন, এই যুদ্ধে ভারতের পরাজয় এমন একটি ঘটনা যা দেশটি কখনোই ভুলতে পারবে না। তিনি দাবি করেছেন, এই যুদ্ধ প্রমাণ করেছে যে প্রচলিত যুদ্ধ সক্ষমতায় পাকিস্তান কোনোভাবেই পিছিয়ে নেই। পাশাপাশি তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, একদিন কাশ্মির পাকিস্তানের অংশ হবে।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদের প্রেসিডেন্ট ভবনে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে দেশের সর্বোচ্চ সামরিক মর্যাদা ‘ফিল্ড মার্শাল’ পদে উন্নীত করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ, প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এবং সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট জারদারি বলেন, এই পদোন্নতির মাধ্যমে তারা সম্মান জানাচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনী ও সেইসব বীর সেনাদের, যারা ভারতের উসকানিমূলক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তিনি আরও বলেন, “পুরো জাতি আপনাদের নিয়ে গর্বিত।”

পদোন্নতির এই মুহূর্তকে “গর্বময় ও ঐতিহাসিক” হিসেবে অভিহিত করে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ বলেন, “আপনারা আমাদের সাহসী সশস্ত্র বাহিনীকে এমন এক বিজয়ের দিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, যেখানে অহংকারী ও আত্মতুষ্ট শত্রু তাদেরই গড়া ফাঁদে আটকা পড়েছে।” তার ভাষায়, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী শুধু সীমান্ত রক্ষা করেনি, বরং শত্রুপক্ষের ভেতরে ঢুকে হামলা চালিয়ে অল্প সময়ের মধ্যেই আগ্রাসনকারীকে পরাজিত করেছে।

এদিকে, একই দিন আজাদ কাশ্মিরের রাজধানী মুজাফফরাবাদে শহীদ সেনাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে ক্ষতিপূরণের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ বলেন, “এই যুদ্ধ ভারতের জন্য এমন এক পরাজয়, যা তারা কখনোই ভুলবে না।” তিনি বলেন, অনেকে ভেবেছিলেন পাকিস্তান প্রচলিত যুদ্ধ ক্ষমতায় পিছিয়ে, কিন্তু এই সংঘাত সে ধারণাকে ভুল প্রমাণ করেছে।

শেহবাজ আরও বলেন, “আমাদের ঐক্য, সাহস এবং ঈমানই আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও চূড়ান্ত বিজয়ের দিকে নিয়ে যাবে। ইনশাআল্লাহ, এমন এক দিন আসবে, যখন কাশ্মির পাকিস্তানেরই হবে।”

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - বানিজ্য ও অর্থনীতি