ভারতের কাছে অত্যাধুনিক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানসহ অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির মার্কিন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদ বলেছে, এ ধরনের পদক্ষেপ দক্ষিণ এশিয়ায় সামরিক ভারসাম্যহীনতা আরও বৃদ্ধি করবে, যা এই অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলবে। পাকিস্তানের মতে, এটি দীর্ঘমেয়াদী শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় বাধা সৃষ্টি করবে।
১৪ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার, পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শাফকাত আলী খান এক বিবৃতিতে বলেন, মার্কিন সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। তিনি উল্লেখ করেন, “এই ধরনের পদক্ষেপ দক্ষিণ এশিয়ায় ইতিমধ্যেই বিদ্যমান সামরিক উত্তেজনা এবং ভারসাম্যহীনতার মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেবে। এতে আগামীতে এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা এবং শান্তি প্রক্রিয়ায় অন্তরায় সৃষ্টি হবে।” পাকিস্তান আরও দাবি করেছে যে, এফ-৩৫ বিক্রির মাধ্যমে ভারতে দেওয়া সামরিক শক্তির আধুনিকায়ন এই অঞ্চলে সহিংসতার ঝুঁকি বাড়াবে।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি, হোয়াইট হাউসে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক শেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ঘোষণা দেন। এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির বিষয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যা ভারতের সামরিক শক্তিকে উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী করবে।
পাকিস্তান এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে একটি সামগ্রিক এবং নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে। ইসলামাবাদ মনে করে, দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর উচিত এই অঞ্চলের পরিস্থিতি বুঝে এবং সমগ্র বাস্তবতা বিবেচনা করে পদক্ষেপ নেওয়া। একপক্ষীয় এবং পক্ষপাতদুষ্ট সিদ্ধান্ত শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
এই সিদ্ধান্তের পর পাকিস্তান আন্তর্জাতিক মহলে সতর্ক বার্তা পাঠিয়েছে যে, একপক্ষীয় নীতি দক্ষিণ এশিয়ার অস্থিতিশীলতা আরও বাড়াতে পারে, এবং এর ফলে সবার জন্য শান্তি ও নিরাপত্তার পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।