ভারতকে অস্থিতিশীল করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ তুলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দল বিজেপি। দলটির দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও তাদের "ডিপ স্টেট" কার্যক্রমের মাধ্যমে ভারতকে অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনা করছে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিজেপি অভিযোগ করেছে, মার্কিন অর্থায়নে পরিচালিত মিডিয়া গ্রুপ ‘অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড কোরাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট’ (ওসিসিআরপি) ভারতের অভ্যন্তরে অস্থিরতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে কাজ করছে। বিজেপি আরও দাবি করেছে, এই ষড়যন্ত্রে জড়িত হাঙ্গেরীয়-আমেরিকান ব্যবসায়ী জর্জ সরোস, ভারতের বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধী এবং ওসিসিআরপি।
বিজেপি'র জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ওসিসিআরপি-র তহবিলের ৫০ শতাংশ আসে সরাসরি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে। এ ছাড়া ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএইড) এবং জর্জ সরোসও এ প্রকল্পে অর্থায়ন করে বলে অভিযোগ তোলা হয়।
বিজেপি দাবি করেছে, ওসিসিআরপি ভারতের ধনকুবের গৌতম আদানি এবং তার গ্রুপের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে নিবন্ধ প্রকাশের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছে। এর আগে আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছিল, যা আদানি গ্রুপ ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
ওসিসিআরপি’র একটি নিবন্ধে দাবি করা হয়, ভারতের সরকার পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে সমালোচকদের ওপর নজরদারি চালিয়েছে। বিজেপি এটিকে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে।
বিজেপির অভিযোগ তুলতে দেখে অনেকে বিস্মিত। কারণ গত দুই দশকে নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটনের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। যদিও কিছু বিষয় নিয়ে মতভেদ থাকলেও উভয় দেশ সম্পর্ক আরও গভীর করার লক্ষ্যে কাজ করছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ইউএসএইড, জর্জ সরোস এবং কংগ্রেস পার্টি এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। একইভাবে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।