শনিবার পালিত হচ্ছে বিশ্ব হাইড্রোগ্রাফি দিবস। অন্যান্য বছরের মতো এবারও বাংলাদেশ দিবসটি উদযাপন করছে ‘সিবেড ম্যাপিং: এনাবলিং ওশান অ্যাকশন’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে। এ উপলক্ষে দেশের সমুদ্রসীমায় একটি সমন্বিত ও নির্ভুল হাইড্রোগ্রাফিক তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার লক্ষ্যে পেশাদারিত্ব, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হাইড্রোগ্রাফিক পেশাজীবীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিকে টেকসইভাবে শক্তিশালী করতে হলে সমুদ্র তলদেশের সুনির্দিষ্ট মানচিত্রায়নের মাধ্যমে একটি আধুনিক ও কার্যকর সমুদ্রনীতি গড়ে তোলা জরুরি। তিনি জানান, বঙ্গোপসাগর শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, আশপাশের দেশগুলোর জন্যও অর্থনৈতিক উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস। তাই এর সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে হাইড্রোগ্রাফির গুরুত্ব অপরিসীম।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার দেশকে একটি উৎপাদনমুখী ও আঞ্চলিক অর্থনৈতিক কেন্দ্রে রূপান্তরের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্য পূরণে সমুদ্রসম্পদকে কাজে লাগাতে হলে হালনাগাদ ও নির্ভুল হাইড্রোগ্রাফিক তথ্য জরুরি।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর হাইড্রোগ্রাফিক বিভাগ যে নিরলসভাবে উপকূলীয় অঞ্চল ও সমুদ্রসীমার জরিপ, মানচিত্র তৈরি এবং আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী তথ্য বিনিময়ের কাজ করে যাচ্ছে, সে বিষয়ে প্রশংসা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জাতিসংঘের সমুদ্র আইন অনুযায়ী বাংলাদেশের মহীসোপান অঞ্চল নির্ধারণ এবং সুনীল অর্থনীতির উন্নয়নে এই বিভাগের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরও আশা প্রকাশ করেন, সামরিক ও নৌ-নিরাপত্তার পাশাপাশি সমুদ্রবন্দর উন্নয়ন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ, তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান এবং উপকূলীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় হাইড্রোগ্রাফিক বিভাগ ভবিষ্যতে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দিবসটির আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানান তিনি।