বিশ্ব গ্লুকোমা দিবস উদযাপিত, জনসচেতনতার ওপর জোর বিশেষজ্ঞদের
আজ ১২ মার্চ বিশ্ব গ্লুকোমা দিবস উদযাপন করা হয়েছে। এবারের বিশ্ব গ্লুকোমা সপ্তাহের স্লোগান ছিল ‘এক সাথে হাত ধরি, গ্লুকোমা মুক্ত বিশ্ব গড়ি’। দিবসটি উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সি-ব্লকের সামনে র্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম।
সমাবেশে তিনি বলেন, গ্লুকোমা প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি অত্যন্ত জরুরি। কারণ, শুরুর দিকে রোগটি শনাক্ত করা গেলে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তিনি আরও বলেন, বিএসএমএমইউ-কে গ্লুকোমার চিকিৎসায় রোল মডেল হতে হবে এবং চিকিৎসায় এভিডেন্স বেইসড পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, গ্লুকোমা চোখের এক নীরব ঘাতক রোগ, যেখানে চোখের চাপ বেড়ে গিয়ে দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়। এটি অনির্বাণযোগ্য অন্ধত্বের অন্যতম কারণ। যেকোনো বয়সে এই রোগ হতে পারে, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ৪০ বছরের পর প্রাথমিক গ্লুকোমা দেখা দেয়। এছাড়া পারিবারিক ইতিহাস, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, চশমার মাইনাস পাওয়ার, চোখে আঘাত ও অনিয়ন্ত্রিত স্টেরয়েড ব্যবহারের ফলে গ্লুকোমার ঝুঁকি বাড়তে পারে।
গ্লুকোমা প্রতিরোধে বিশেষজ্ঞরা কিছু পরামর্শ দিয়েছেন:
✅ নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করানো
✅ কম আলোতে চোখ ব্যথা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া
✅ ছানি পেকে যাওয়ার আগেই অপারেশন করানো
✅ চোখে আঘাত পেলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া
✅ সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ঝুঁকি কমানো
বিএসএমএমইউর চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগ ও কমিউনিটি অপথালমোলজি বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম, হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু নোমান মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দীন, চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আব্দুল ওয়াদুদসহ অনেকে।