বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক নতুন এক উচ্চতায় পৌঁছেছে শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে। তাঁর দায়িত্ব গ্রহণের পর মাত্র ছয় মাসে বাংলাদেশ বিশ্ব পরিমণ্ডলে অনেক এগিয়ে গেছে। এক সময় বাংলাদেশের সরকার প্রধানরা আন্তর্জাতিক সম্মেলনগুলোতে নিমন্ত্রিত হওয়ার জন্য লবিং করতেন, কিন্তু এখন সেই পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। দেশটি এখন বিশ্বের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু।
ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে একটি নতুন মর্যাদা অর্জন করেছে, যার প্রমাণ পাওয়া যায় যখন বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তি ইলন মাস্ক বাংলাদেশে আসার জন্য ড. ইউনূসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. ইউনূসের প্রথম বিদেশ সফর ছিল জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে। সেখানে তিনি শুধুমাত্র নিজের জন্য নয়, বাংলাদেশকে মর্যাদার আসনে পৌঁছে দেওয়ার জন্য কথা বলেন।
ড. ইউনূসের আন্তর্জাতিক সুনাম এবং অর্জনের কারণে, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতারা তাঁকে সম্মান জানান। তিনি শুধুমাত্র বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছেন না, বরং দেশের কূটনীতিকে নতুন এক মাত্রায় নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি নিজে আন্তর্জাতিক সম্মেলনগুলোতে মুখ্য ভূমিকা পালন করছেন, যার ফলে বাংলাদেশের সুনামও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ বছর ড. ইউনূস জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে এক অনন্য ভূমিকা রেখেছেন, যেখানে তিনি বাংলাদেশকে একটি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেছেন। অতীতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি ছিল সাহায্য নির্ভর, কিন্তু বর্তমানে ড. ইউনূস বাংলাদেশকে একটি গাইড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
বিশ্বের অন্যান্য নেতাদের কাছে বাংলাদেশে নতুন সংস্কার ও সহযোগিতা আহ্বান জানানোর পাশাপাশি, ড. ইউনূস আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার এই দৃষ্টিভঙ্গি এবং নেতৃত্বের কারণে, দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং কূটনীতিকরা এখন অনেক বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে।
এছাড়াও, ড. ইউনূসের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি লাভ করেছে জুলাই গণহত্যা।
বিশ্বে বাংলাদেশের নতুন পরিচয় তুলে ধরার জন্য, ড. ইউনূস দেশের জন্য এমন একটি কূটনীতি চালু করেছেন, যা একদিকে যেমন আন্তর্জাতিক সহানুভূতি জাগিয়েছে, তেমনি দেশের গৌরব বৃদ্ধি করেছে।