মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বব্যাপী বিদেশি সহায়তা বরাদ্দের ক্ষেত্রে 'আমেরিকা প্রথম' নীতি অনুসরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা ইউএসএআইডির কর্মীদের প্রতি কঠোর ভাষায় জারি করা হয়েছে, যেখানে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
এ খবরটি জানিয়েছে এনডিটিভি, যেখানে বলা হয়েছে যে, শনিবার ইউএসএআইডির ১০ হাজারেরও বেশি কর্মীর কাছে একটি নোটিশ পাঠানো হয়, যাতে ট্রাম্পের লক্ষ্য অর্জনে কীভাবে কাজ করতে হবে তা বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
ইউএসএআইডির ব্যবস্থাপনা ও সম্পদ বিভাগের সহকারী ক্যান জ্যাকসন নোটিশে উল্লেখ করেছেন, "আমাদের একটি দায়িত্ব রয়েছে প্রেসিডেন্টকে তার দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়নে সহায়তা করার।" তিনি আরও যোগ করেছেন, "প্রেসিডেন্ট আমাদের জন্য বিদেশী সহায়তার দিকে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করার একটি বিশাল সুযোগ সৃষ্টি করেছেন, যা পরবর্তী দশকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।"
ট্রাম্প তার প্রথম কার্যদিবসে বিদেশি সহায়তা পর্যালোচনার জন্য ৯০ দিনের স্থগিতাদেশ দেন এবং পরবর্তীতে শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিশর ও ইসরাইল ছাড়া সব বিদেশি সহায়তা বন্ধের জন্য নির্দেশনা জারি করে। এর ফলে, জীবন রক্ষাকারী সহায়তার প্রভাব এবং কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
যুক্তরাষ্ট্র, যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় সহায়ক দেশ, ২০২৩ সালে ৭২ বিলিয়ন ডলার বিদেশি সহায়তা প্রদান করেছে এবং ২০২৪ সালে জাতিসংঘের তহবিলে সব মানবিক সহায়তার ৪২ শতাংশ একাই প্রদান করেছে।