সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদকে জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আসাদের পতনকে সিরিয়ার জনগণের জন্য একটি ‘ঐতিহাসিক সুযোগ’ হিসেবে উল্লেখ করে বাইডেন বলেন, এটি দেশ পুনর্গঠনের পথ সুগম করতে পারে।
রোববার হোয়াইট হাউসে দেওয়া এক বক্তব্যে বাইডেন বলেন, “সরকার পতনের ঘটনাটি ন্যায়বিচারের মৌলিক প্রতিফলন। দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তিতে থাকা সিরীয় জনগণের জন্য এটি নতুন আশা নিয়ে এসেছে।”
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে খবর প্রকাশিত হয়েছে যে বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)-এর নেতৃত্বে বিদ্রোহীরা দামেস্কের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ মস্কোতে পালিয়ে গেছেন। এর মধ্যেই সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর সদস্যদের বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযান চালিয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বাইডেন বলেন, “বাশার আল-আসাদকে অবশ্যই জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত।” তিনি আরও বলেন, “সিরিয়ায় বিদ্রোহী জোটের মধ্যে থাকা কট্টরপন্থী ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলোর মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত হওয়া উচিত।”
যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাইডেন বলেন, “আমরা জাতিসংঘের নেতৃত্বে সব সিরীয় গোষ্ঠীর সঙ্গে কাজ করব, যাতে দেশটি স্বাধীনতার পথে অগ্রসর হতে পারে।”
রবিবার বিদ্রোহী জোটের বিজয়ের পর দামেস্কে উদ্যাপন শুরু হয় এবং বাশারের বিলাসবহুল বাড়িতে লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
এদিকে ক্রেমলিন সূত্র জানিয়েছে, বাশার আল-আসাদ এবং তার পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে মস্কোতে অবস্থান করছেন।
উল্লেখ্য, সিরিয়ায় আইএস মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৯০০ সেনা এবং প্রতিবেশী ইরাকে ২,৫০০ সেনা মোতায়েন রয়েছে। বাইডেনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে এই অঞ্চলে সন্ত্রাস দমনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক থাকবে বলে তিনি জানান।