মঙ্গলবার, ১লা জুলাই, ২০২৫| রাত ১২:১৬

বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপে সরকার: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

প্রতিবেদক
staffreporter
জুন ৩০, ২০২৫ ৭:২৭ অপরাহ্ণ
বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপে সরকার: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপে সরকার: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

বাংলাদেশ সরকার বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, রাজধানীর কাঁচা ও ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলো শীত আসার আগেই সংস্কারের মাধ্যমে ধুলার পরিমাণ কমানো হবে। এছাড়া ধুলা নিয়ন্ত্রণে রাস্তার ওপরে মাটি ঢেকে দেওয়া, পানি ছিটানো এবং ‘জিরো সয়েল’ নীতির বাস্তবায়ন করা হবে।

গত সোমবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চীনের একটি বিশেষজ্ঞ দলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি জানান, শহরের বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ পুরনো এবং উচ্চমাত্রার ধোঁয়া নির্গমনকারী যানবাহন। এ বিষয়ে বিআরটিএ পুরনো যানবাহন সরিয়ে নতুন ২৫০টি পরিবেশবান্ধব যানবাহন যুক্ত করছে এবং নির্গমন নিয়ন্ত্রণে ১০টি স্বয়ংক্রিয় যানবাহন পরিদর্শন কেন্দ্র স্থাপন করবে।

দীর্ঘমেয়াদে কার্যকর পদক্ষেপের জন্য চীনা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি উন্নত নির্গমন পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা, বৈশ্বিক মান অনুযায়ী নির্গমন মান উন্নয়ন, স্যানিটারি ল্যান্ডফিল এবং বর্জ্য ইনসিনারেশন প্ল্যান্ট চালুর মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। রান্নার কাজে এলপিজি ব্যবহারে উৎসাহ প্রদান এবং পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহারে কর প্রণোদনার কথাও বিবেচনায় রয়েছে।

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ ক্লিন এয়ার প্রকল্পের আওতায় পরিবেশ অধিদপ্তর উচ্চ দূষণ সৃষ্টিকারী শিল্পে অব্যাহত নির্গমন পর্যবেক্ষণ চালু করবে এবং দেশব্যাপী সচেতনতা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এদিকে ডিটিসিএ সড়কে বেড়া বসানো এবং ৫০টি বৈদ্যুতিক যানবাহন চালুর মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব পরিবহনব্যবস্থা বাস্তবায়ন করছে।

জাইকার সহায়তায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আটটি বাস্তবভিত্তিক বায়ু গুণমান পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে বলে জানান উপদেষ্টা। চীনা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যৌথ কাজের বিষয়ে আশাবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারের উদ্দেশ্য সুস্পষ্ট—পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করা।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানম, মো. খায়রুল ইসলাম, নানজিং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইউ ঝাও, অধ্যাপক হাইকুন ওয়াং, সহযোগী অধ্যাপক টেংইউ লিউ এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের বায়ুদূষণ বিভাগের পরিচালক মো. জিয়াউল হক প্রমুখ।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - বানিজ্য ও অর্থনীতি

আপনার জন্য নির্বাচিত