সীমান্তের ওপারে বিক্ষোভের কারণে বাংলাদেশ ও ভারতের চারটি শুল্ক স্টেশন দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। এর মধ্যে মৌলভীবাজারের চাতলাপুর ও বটুলি এবং সিলেটের জকিগঞ্জ ও শেওলা শুল্ক স্টেশন রয়েছে।
গত ২৭ নভেম্বর থেকে চাতলাপুর এবং পরদিন বটুলি শুল্ক স্টেশন বন্ধ হয়ে যায়। গত সোমবার থেকে বন্ধ হয়েছে জকিগঞ্জ ও শেওলা শুল্ক স্টেশন। বন্ধ হওয়ার কারণ হিসেবে ভারতের ত্রিপুরা ও আসামে স্থানীয় সংগঠনগুলোর আন্দোলন ও বিক্ষোভের কথা জানা গেছে।
বিভিন্ন শুল্ক স্টেশনে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পণ্য রপ্তানি বেড়েছে, তবে ভারত থেকে পণ্য আমদানি কমেছে। চলতি বছরের আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত নয়টি স্থলবন্দর দিয়ে মোট ৫৯ কোটি ১১ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন পণ্য আমদানি করা হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কম। তবে রপ্তানি বেড়ে ১৭৬ কোটি ৬৭ লাখ ১৮ হাজার মেট্রিক টনে পৌঁছেছে।
পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ব্যাংক নীতিমালা পরিবর্তন এবং ডলার সংকটের প্রভাব পড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
যাত্রী পারাপারেও ভাটা পড়েছে। চলতি বছরের আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৮ লাখ ৯২ হাজার ১১৭ জন যাতায়াত করেছেন, যা গত বছরের একই সময়ে ১২ লাখ ১৩ হাজার ৯১৫ জন ছিল। ভারত ভিসা প্রদান বন্ধ রাখায় এ সংখ্যা কমে গেছে।
এদিকে পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করার আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টরা।