রবিবার, ২রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫| রাত ৮:৪৫

বাংলাদেশে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস শনাক্ত: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সতর্কতা

প্রতিবেদক
staffreporter
জানুয়ারি ১৩, ২০২৫ ৩:২৫ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস শনাক্ত: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সতর্কতা

বাংলাদেশে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস শনাক্ত: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সতর্কতা

চীনসহ আশেপাশের দেশগুলোতে আতঙ্ক ছড়ানো হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) এবার বাংলাদেশেও শনাক্ত হয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সতর্কতা জারি করেছে এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে ৭ দফা নির্দেশনা দিয়েছে।

ভাইরাসের সংক্রমণ ও ঝুঁকি
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার (সিডিসি) লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হালিমুর রশিদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, চীনসহ বিভিন্ন দেশে এই ভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৪ বছরের কম বয়সী শিশু এবং ৬৫ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণ বেশি দেখা যাচ্ছে। হাঁপানি, দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসতন্ত্রের রোগ, দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং গর্ভবতী নারীরা এই ভাইরাসে বেশি ঝুঁকির মুখে।

প্রতিরোধে ৭ দফা নির্দেশনা
ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে:
১. শ্বাসতন্ত্রের রোগ থেকে রক্ষা পেতে মাস্ক ব্যবহার।
২. হাঁচি বা কাশির সময় নাক-মুখ ঢেকে রাখা।
৩. ব্যবহৃত টিস্যু ঢাকনাযুক্ত ময়লার ঝুড়িতে ফেলা এবং সাবান-পানি বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়া।
৪. আক্রান্ত ব্যক্তিদের এড়িয়ে চলা এবং কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখা।
৫. ঘন ঘন হাত ধোয়া (অন্তত ২০ সেকেন্ড)।
৬. অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক বা মুখ স্পর্শ না করা।
৭. জ্বর, কাশি বা শ্বাসকষ্ট হলে বাড়িতে থাকা এবং প্রয়োজনে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ।

আতঙ্ক নয়, সচেতনতা জরুরি
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এই ভাইরাস সাধারণত ফ্লুর মতো উপসর্গ সৃষ্টি করে, যা ২-৫ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। তাই আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

জনগণকে ভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মানার আহ্বান জানিয়ে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এই ভাইরাস মোকাবিলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতির আশ্বাস দিয়েছে।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - সর্বশেষ