বাংলাদেশের অর্থনীতি অস্থিতিশীল করতে মিডিয়া ট্রায়াল
বাংলাদেশের অর্থনীতিকে অস্থিতিশীল করতে দেশি-বিদেশি একটি চক্র সুপরিকল্পিতভাবে মিডিয়া ট্রায়ালের মাধ্যমে ২০টি ব্যাংক ও শিল্পোদ্যোক্তাকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। এই প্রচারণার মাধ্যমে দেশের ব্যাংকিং খাত ও বেসরকারি শিল্পোদ্যোক্তাদের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টা চলছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মিডিয়া ট্রায়ালের উদ্দেশ্য হলো দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করা এবং জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা। ব্যাংক ও শিল্পোদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে তাঁদের প্রতি জনগণের আস্থা কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, যা দেশের সার্বিক অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
ব্যাংকিং খাত দেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান স্তম্ভ। এখানে কোনো ধরনের নেতিবাচক প্রচারণা বা গুজব ছড়ালে তা বিনিয়োগকারীদের আস্থায় চিড় ধরাতে পারে, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি করবে। বিশেষ করে, যখন দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথে রয়েছে, তখন এ ধরনের প্রচারণা অর্থনীতির জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ।
বেসরকারি শিল্পোদ্যোক্তারা দেশের শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ ও মিডিয়া ট্রায়াল চালানো হলে উদ্যোক্তাদের মনোবল ভেঙে যেতে পারে, যা দেশের শিল্প খাতের বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এ ধরনের পরিস্থিতি বিনিয়োগের পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে এবং নতুন উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে নিরুৎসাহিত হবেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই মিডিয়া ট্রায়ালের পেছনে থাকা চক্রটি দেশের অর্থনীতিকে দুর্বল করে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়। তাই, এ ধরনের অপপ্রচার রোধে সরকার, নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং গণমাধ্যমকে সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে, গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে, যাতে ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচারিত না হয় এবং জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি না হয়।
এছাড়া, ব্যাংক ও শিল্পোদ্যোক্তাদেরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে কোনো চক্র তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে অপপ্রচার চালাতে না পারে। সর্বোপরি, দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে এবং যে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে।