বর্ষায় ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার ঝুঁকি বাড়ছে, সতর্ক থাকার আহ্বান
হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিনই উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ডেঙ্গুর পাশাপাশি বাড়ছে চিকুনগুনিয়ার সংক্রমণও। বর্ষায় হঠাৎ বৃষ্টিতে জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতে এডিস মশা সহজেই বংশ বিস্তার করে। এই মশা ডিম পাড়ে এমন জায়গায় যেখানে পানি জমে থাকে, আর আমাদের অসচেতনতা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সময় প্রয়োজন বেশি সতর্কতা ও সঠিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ। নিচে ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ তুলে ধরা হলো:
ঘরের আশপাশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে। চিপসের প্যাকেট, পানির বোতল বা অন্য কোনো পাত্র যত্রতত্র ফেললে তাতে পানি জমে এডিস মশার জন্ম হতে পারে।
যারা পানিতে গাছ লাগিয়ে রাখেন, তারা যেন দুই থেকে তিন দিন পরপর সেই পানি পরিবর্তন করেন। অ্যাকুয়ারিয়াম বা চৌবাচ্চার পানি অন্তত তিন দিনে একবার বদলানো উচিত।
বৃষ্টির পানিতে যাতে কোনো জায়গায় জমে না থাকে, বিশেষ করে বারান্দা বা বাড়ির আশপাশে — সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
অব্যবহৃত বাথরুমের কমোডেও এডিস মশার লার্ভা জন্ম নিতে পারে। তাই প্রতি দুই-তিন দিন পরপর কমোডে ফ্ল্যাশ দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। বাথরুমের বালতি, মগ বা বদনায়ও পানি জমিয়ে রাখা যাবে না।
ফ্রিজের পানির ট্রে ও এসির পানি জমার জায়গাগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।
যেসব এলাকায় মশা বেশি, সেখানে যাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। প্রয়োজন হলে সঙ্গে মশা নিরোধক ক্রিম রাখতে হবে এবং ব্যবহার করতে হবে।
ভোরবেলা ও সন্ধ্যার দিকে এডিস মশা বেশি সক্রিয় থাকে। এই সময় জানালা ও দরজা বন্ধ রাখা উচিত, যেন মশা ঘরে প্রবেশ না করতে পারে।
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার মতো রোগ প্রতিরোধে সচেতনতাই সবচেয়ে কার্যকর উপায়। বর্ষার এই সময়টিতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।