আজ দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিবস। ১৭৯৫ সালে চট্টগ্রামের পাহাড়ি সীমান্ত রক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠিত রামগড় লোকাল ব্যাটালিয়ন থেকে আজকের বিজিবি পর্যন্ত বাহিনীটির ইতিহাস গৌরবময় এবং বীরত্বে ভরপুর। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বিজিবির ঐতিহ্য ও বীরত্বের কথা উল্লেখ করে বলেন, সীমান্ত সুরক্ষাসহ দেশে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিজিবি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। তিনি বাহিনীর অতীত অবদান এবং বর্তমান কর্মপ্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিজিবির মুক্তিযুদ্ধকালীন অবদানকে স্মরণ করে বলেন, এই বাহিনীর সদস্যরা মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য বীরত্ব প্রদর্শন করেছেন। দুজন বীরশ্রেষ্ঠসহ বিজিবির ১১৯ জন মুক্তিযোদ্ধা সদস্য খেতাবপ্রাপ্ত হয়েছেন, এবং ৮১৭ জন সদস্য তাদের জীবন উৎসর্গ করে বাহিনীটির ইতিহাসকে মহিমান্বিত করেছেন।
উল্লেখ্য, বাহিনীটি বিভিন্ন সময়ে নাম পরিবর্তন করে বর্তমানে বিজিবি নামে পরিচিত। ১৯৪৭ সালের ভারত বিভাগের পর এটি ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (ইপিআর) নামে পরিচিত হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধের পর এটি বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) নামে পরিচিত হয়। ২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর ২০১০ সালে বাহিনীটির বর্তমান নামকরণ হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টা বিজিবির সদস্যদের দেশপ্রেম, পেশাদারিত্ব এবং নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান। বিজিবি দেশের সার্বিক নিরাপত্তা এবং সীমান্ত সুরক্ষায় আরও সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে—এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তারা।