বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে শরীরে ও ত্বকে পরিবর্তন, অ্যান্টি-এজিং ফলের গুরুত্ব
বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে শরীরে নানা পরিবর্তন ঘটে। কিছু পরিবর্তন অভ্যন্তরীণ হয়, আবার কিছু পরিবর্তন বাহ্যিক দৃশ্যমান হয়। ত্বকের পরিবর্তন সবচেয়ে বেশি স্পষ্ট হয়। বয়স বাড়ার সাথে ত্বক পাতলা ও ফ্যাকাশে হয়ে যায়, এবং এর স্থিতিস্থাপকতা কমে যায়। ত্বকের সংযোগকারী টিস্যুর পরিবর্তন এর কারণে ত্বক তার শক্তি হারায়।
ডায়েটিশিয়ানরা বলছেন, সকালের খাদ্যতালিকায় কিছু বিশেষ অ্যান্টি-এজিং ফল যুক্ত করলে বয়সের প্রভাব অনেকাংশে কমানো সম্ভব। এমনকি এটি আপনার বয়স দশ বছর কম দেখানোর মতো প্রভাব ফেলতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই ফলগুলো সম্পর্কে-
পেঁপে
পেঁপে ভিটামিন এ, সি, এনজাইম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর একটি সুপরিচিত ফল। এটি ত্বকের পুরাতন কোষ দূর করে, বার্ধক্যের লক্ষণ বিলম্বিত করে, ত্বক হাইড্রেশনে সাহায্য করে, ব্রণ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক এবং সূর্যের ক্ষতি কমায়।
আমলকি
আমলকি ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। এটি বার্ধক্য বিরোধী, ক্যান্সার প্রতিরোধক এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাজা বা সংরক্ষিত অবস্থায় আমলকি ত্বক পুনরুজ্জীবিত করতে সহায়ক।
কালো আঙুর
কালো আঙুরে লাল বা সবুজ আঙুরের তুলনায় বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এতে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, আলঝাইমার, পার্কিনসন এবং হৃদরোগের মতো রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে।
স্ট্রবেরি
স্ট্রবেরিতে স্যালিসিলিক অ্যাসিড থাকে, যা ত্বক ডিটক্সিফাই করতে এবং ব্রেকআউট প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি কম ক্যালোরি ও চিনি সমৃদ্ধ হলেও ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাসিয়াম ও অ্যান্থোসায়ানিনের ভালো উৎস।
কিউই
কিউই ভিটামিন সি, কে, ই এবং ফাইবারে সমৃদ্ধ। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, হজমে সাহায্য করে, ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
সঠিক খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে এই ফলগুলো নিয়মিত খেলে বয়সের প্রভাব কমিয়ে ত্বক ও শরীরের সুস্থতা বজায় রাখা সম্ভব।