আজ ২১ ডিসেম্বর, ফ্ল্যাশলাইট দিবস। অন্ধকারে আলোর অন্যতম সহজলভ্য উৎস এই ফ্ল্যাশলাইটকে সম্মান জানাতে উত্তর গোলার্ধে শীতের সূচনা উপলক্ষে দিবসটি পালিত হয়। বছরের এই সময়টিতে দিনের দৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম থাকে, বিশেষ করে আর্কটিক সার্কেলের মতো অঞ্চলগুলোতে সূর্যের আলো একেবারেই অনুপস্থিত।
ফ্ল্যাশলাইট, যা অনেকেই টর্চলাইট নামে চেনেন, একটি পোর্টেবল ও ব্যাটারিচালিত আলোর উৎস। এর ইতিহাস বেশ পুরোনো। ১৮৮৭ সালে ড্রাই সেল ব্যাটারির আবিষ্কার হয়, যা তরল ইলেক্ট্রোলাইটের পরিবর্তে পেস্ট ব্যবহার করে নিরাপদ ও বহনযোগ্য আলোকসজ্জার যন্ত্র তৈরির সুযোগ করে দেয়। এরপর ১৮৯৯ সালের কাছাকাছি সময়ে ড্রাই সেল ও ছোট আকারের বাল্বের উদ্ভাবন প্রথম ব্যাটারিচালিত ফ্ল্যাশলাইট তৈরিতে সহায়ক হয়।
১৯৩০-এর দশকে ফ্ল্যাশলাইট চীনে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, যেখানে প্রায় ৬০টি কোম্পানি এটি উৎপাদন করত। তবে আধুনিক স্মার্টফোনের কারণে ফ্ল্যাশলাইটের ব্যবহার অনেকটাই কমে এসেছে। স্মার্টফোনে থাকা ডিজিটাল ফ্ল্যাশলাইট ব্যবহার করা সহজ হলেও, এটি আসল ফ্ল্যাশলাইটের মতো কার্যকর বা অনুভূতি প্রদান করতে পারে না।
ফ্ল্যাশলাইট শুধুমাত্র অন্ধকারে পথ দেখানোর যন্ত্র নয়, বরং আলোক উদ্ভাবনের একটি চমৎকার উদাহরণ। ফ্ল্যাশলাইট দিবস সেই উদ্ভাবন ও এর কার্যকারিতাকে স্মরণ করার একটি দারুণ উপলক্ষ।