শীতকালীন সবজি ফুলকপি এখন বাজারে সুলভ। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই সবজি দিয়ে তৈরি করা যায় সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর নানা পদ। এতে রয়েছে প্রচুর খাদ্য আঁশ, থায়ামিন, রাইবোফ্লাবিন, নায়াসিন, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাস। পাশাপাশি, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবেও ফুলকপি উপকারী।
ফুলকপির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ক্যানসার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। এতে থাকা আয়োডিন-৩-কারবিনল নামক যৌগ ক্যানসারের কোষের বৃদ্ধি ও টিউমার গঠনে বাধা দেয়। এছাড়া, গ্লুকোসিনোলেটস নামের উপাদান হজমের সময় ভেঙে গিয়ে ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক হয়ে ওঠে।
ভিটামিন বি, সি ও কে সমৃদ্ধ ফুলকপি সর্দি, হাঁচি, কাশি ও জ্বরের মতো সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। এতে থাকা ক্যালসিয়াম ও ফ্লোরাইড দাঁত ও মাড়ির জন্য উপকারী এবং দাঁত লালচে হয়ে যাওয়া ও মাড়ি দুর্বল হয়ে যাওয়ার সমস্যা প্রতিরোধ করে।
চোখের স্বাস্থ্যের জন্যও ফুলকপি কার্যকর। এতে থাকা সালফোরাফেন রেটিনা ও চোখের অন্যান্য কোষকে সতেজ রাখে, যা ছানি, অন্ধত্বসহ চোখের বিভিন্ন সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
হজমের স্বাস্থ্যের জন্য ফুলকপি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এতে রয়েছে প্রচুর ফাইবার। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমায়। আয়রনের ভালো উৎস হওয়ায় এটি রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে, যা বিশেষ করে গর্ভবতী মা, শিশুর বৃদ্ধি ও পরিশ্রমী মানুষের জন্য জরুরি।
ফুলকপির সালফোরাফেন কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে। ধমনিতে চর্বি জমতে না দিয়ে এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক।
এছাড়া, ফুলকপিতে কোলিন নামক উপাদান রয়েছে, যা শরীরের বিভিন্ন কার্যপ্রক্রিয়া পরিচালনা ও রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এতে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল থাকায় এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, চুল ও ত্বকের জন্য উপকারী এবং ক্ষত নিরাময়ে সহায়ক।
শরীরের ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্য রক্ষায় ফুলকপিতে থাকা পটাশিয়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি স্নায়ুতন্ত্র ও মাংসপেশির কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনায় সহায়ক।
তথ্যসূত্র: ওয়েবএমডি, ইনস্টিকস, ডক্টর এক্স ডটকম ও হেলথলাইন।