বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) এই ফোনালাপের বিষয়ে হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছে।
ফোনালাপে, সুলিভান ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানান, যিনি চ্যালেঞ্জিং সময়ের মধ্যে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস, আপনি বাংলাদেশের জন্য যে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।” উভয় নেতাই ধর্ম নির্বিশেষে সকল মানুষের মানবাধিকার রক্ষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। সুলিভান জানান, বাংলাদেশ যে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করছে, সে বিষয়েও যুক্তরাষ্ট্র তার সমর্থন অব্যাহত রাখবে।
হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, "এসময় উভয় নেতাই বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ, স্থিতিশীল এবং গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সমর্থন এবং সহযোগিতা নিশ্চিত করেছেন।" যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, তিনি বিশ্বাস করেন বাংলাদেশ তার চলমান সংকটগুলো কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে, এবং এই প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র পাশে থাকবে।
ড. ইউনূস তার বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, "আপনারা যে সহায়তা প্রদান করেছেন, তাতে আমরা আমাদের দেশের সংকটগুলো দ্রুত সমাধান করতে পারব।" তিনি তাঁর নিউইয়র্ক সফরের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠক সম্পর্কেও স্মরণ করেন, যেখানে তারা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করেছিলেন।
এছাড়া, ড. ইউনূস জানান, তিনি আগামী জানুয়ারির মধ্যে ছয়টি বড় সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার আশাবাদী। এরপর জাতীয় ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা বাংলাদেশের জনগণকে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত করবে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, গত ৮ আগস্ট দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা তার এই দায়িত্ব পালনকে অত্যন্ত প্রশংসনীয় হিসেবে উল্লেখ করেন।
এছাড়া, সুলিভান ও ইউনূসের এই আলোচনা শুধু দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের গুরুত্বই পুনর্ব্যক্ত করেছে, বরং বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতার পথও আরও শক্তিশালী করেছে।