প্রথম দিনেই অভিবাসী তাড়ানোর হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিন থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসনব্যবস্থায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করার অঙ্গীকার করেছেন। রোববার ওয়াশিংটনে ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ বিজয় সমাবেশে হাজার হাজার সমর্থকের উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে অভিবাসন ইস্যুতে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ট্রাম্প আরও জানান, দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই তিনি পূর্বের প্রশাসনের সব উগ্র ও নির্বোধ নির্বাহী আদেশ বাতিল করবেন। প্রথম দিনেই ২০০টিরও বেশি নির্বাহী পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তার। এর মধ্যে বিশেষভাবে সীমান্ত নিরাপত্তার ওপর জোর দেওয়া হবে।
ট্রাম্পের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মাদক চক্রগুলোকে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করা এবং যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে জরুরি অবস্থা জারি করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া ‘মেক্সিকোতে থাকুন’ নীতি পুনর্বহালেরও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
অভিবাসীদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানের কারণে ট্রাম্পের এই ঘোষণায় অভিবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অভিবাসীদের অধিকারের জন্য কাজ করা বিভিন্ন গোষ্ঠী বলছে, এতে বহু দীর্ঘমেয়াদি বাসিন্দা, যারা আইন মেনে চলেন এবং যাদের পরিবার যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক, তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন।
প্রেসিডেন্টের ভাষণে তিনি আরও বলেন, তার প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি সংকটের সমাধানে ঐতিহাসিক শক্তি প্রয়োগ করবে। ট্রাম্পের ক্ষমতায় আসা বিশ্ব রাজনীতিতেও নতুন প্রভাব ফেলতে পারে, কারণ সম্প্রতি তিনি গ্রিনল্যান্ড দখল, পানামা খালের ওপর নিয়ন্ত্রণ নেওয়া এবং কানাডাকে মার্কিন রাজ্যে পরিণত করার আকাঙ্ক্ষার কথা বলেছেন, যা আন্তর্জাতিক মহলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
আজ স্থানীয় সময় দুপুরে ক্যাপিটল ভবনে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের নিরাপত্তায় প্রায় ২৫ হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।