মঙ্গলবার, ১লা জুলাই, ২০২৫| সকাল ৬:৪৮

প্রকৃত সাংবাদিকদের স্বচ্ছ যাচাইয়ের মাধ্যমে অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড দেওয়ার আশ্বাস

প্রতিবেদক
staffreporter
মে ১৬, ২০২৫ ৩:২৯ অপরাহ্ণ
প্রকৃত সাংবাদিকদের স্বচ্ছ যাচাইয়ের মাধ্যমে অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড দেওয়ার আশ্বাস

প্রকৃত সাংবাদিকদের স্বচ্ছ যাচাইয়ের মাধ্যমে অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড দেওয়ার আশ্বাস

প্রকৃত সাংবাদিকদের দ্রুত অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী গণমাধ্যমের হালচাল’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি জানান, স্বচ্ছতা ও যাচাই-বাছাইয়ের ভিত্তিতে প্রকৃত সাংবাদিকদের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড প্রদান করা হবে। আগের মতো সংসদ সদস্য বা রাজনৈতিক নেতাদের তদবিরে কার্ড প্রদান আর হবে না। তিনি আরও বলেন, ১৬৭টি অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিলের ঘটনাকে ‘একটি ভুল’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে এবং ইতোমধ্যে নতুন কমিটি ও নীতিমালা গঠন করা হয়েছে। নতুন নীতিমালা সহজ এবং সাংবাদিকবান্ধব করা হয়েছে, যাতে কার্ডধারী সাংবাদিকদের বিদেশ যাত্রায় আর সরকারের অনুমতির প্রয়োজন না হয়।

সাংবাদিকদের নিরাপত্তা এবং স্বাধীনতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গত ৯ মাসে গণমাধ্যম পূর্ণ স্বাধীনতা উপভোগ করছে। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো মিডিয়া বন্ধ না করে বরং ব্লক করা কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম পুনরায় চালু করা হয়েছে। ফেসবুকে কিছু সাংবাদিক মিথ্যা তথ্য দিলেও তাদের আদর্শিক অবস্থান বিবেচনায় বাকস্বাধীনতা হরণ করা হয়নি। তবে প্রতিটি গণমাধ্যমে সাংবাদিকদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে গাইডলাইন থাকা উচিত বলে মত দেন তিনি।

তিনি জানান, গত বছরের ৫ আগস্টের পর হওয়া ২৬৬টি হত্যা মামলার বিষয়ে সরকারের স্পষ্ট ধারণা নেই এবং এর জেরে কাউকে হয়রানি বা গ্রেপ্তার করা হয়নি। বরং সাংবাদিকরা নিয়মিত তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন, মিডিয়াকে জনগণের কণ্ঠস্বর হয়ে কাজ করতে হবে এবং পুরনো ভুলগুলো স্বীকার করে নতুনভাবে এগিয়ে যেতে হবে। একইসঙ্গে সাংবাদিকদের কপিরাইট ও বেতন সুরক্ষার জন্য নতুন অর্থনৈতিক কাঠামো দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আলোচনায় অংশ নিয়ে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য সৈয়দ আবদাল আহমদ বলেন, গত ১৭ বছর এবং বর্তমানে গণমাধ্যমের অবস্থা স্পষ্টভাবে ভিন্ন। আগে সমালোচনার সুযোগ ছিল না, মামলা ও হয়রানির শিকার হতেন সাংবাদিকরা। কিন্তু এখন তারা স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারছেন, যা স্বাধীনতার পরিচায়ক।

পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ বলেন, গণমাধ্যমের সহায়তা ছাড়া ফ্যাসিবাদ টিকে থাকতে পারত না। তাই গণমাধ্যমকে অবশ্যই সংস্কার করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ‘ফ্যাসিবাদমুক্ত গণমাধ্যম চাই’-এর আহ্বায়ক জয়নাল আবেদিন শিশির এবং প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মুখপাত্র প্লাবন তারিক। সভায় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, এটিএন বাংলার প্রধান প্রতিবেদক একরামুল হক সায়েম প্রমুখ।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - বানিজ্য ও অর্থনীতি

আপনার জন্য নির্বাচিত
আজকের মুদ্রার হার (২৯ জুন, ২০২৫)

আজকের মুদ্রার হার (২৫ মার্চ, ২০২৫)

আবারও যুদ্ধের ছায়া ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে? চূড়ান্ত সতর্কতায় ইসলামাবাদ, ৩৬ ঘণ্টার সময়সীমা

আবারও যুদ্ধের ছায়া ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে? চূড়ান্ত সতর্কতায় ইসলামাবাদ, ৩৬ ঘণ্টার সময়সীমা

অভিবাসীদের হাতকড়া পরিয়ে ফেরত: মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব ব্রাজিলের

অভিবাসীদের হাতকড়া পরিয়ে ফেরত: মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব ব্রাজিলের

বসুন্ধরা গ্রুপে প্রকৌশলী পদে নিয়োগ, আবেদন শেষ ১০ এপ্রিল

বসুন্ধরা গ্রুপে প্রকৌশলী পদে নিয়োগ, আবেদন শেষ ১০ এপ্রিল

হোয়াটসঅ্যাপের বড় পদক্ষেপ: ৯৯ লাখ অ্যাকাউন্ট বন্ধ

হোয়াটসঅ্যাপের বড় পদক্ষেপ: ৯৯ লাখ অ্যাকাউন্ট বন্ধ

আজকের মুদ্রার হার (২৯ জুন, ২০২৫)

আজকের মুদ্রার হার (১৪ জানুয়ারি, ২০২৫)

দেশে বিরাজনীতিকরণের প্রয়াস চলছে : রিজভী

সম্ভাব্য শান্তি চুক্তি - সৌদিতে বৈঠকে বসছে যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন

সম্ভাব্য শান্তি চুক্তি – সৌদিতে বৈঠকে বসছে যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন

ভারতে রুপির রেকর্ড দরপতন, ১ ডলারে মিলছে ৮৭.৫৩ রুপি

ভারতে রুপির রেকর্ড দরপতন, ১ ডলারে মিলছে ৮৭.৫৩ রুপি

ভারতের হামলার প্রতিক্রিয়ায় পাল্টা জবাবের হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের, এনএসসির জরুরি বৈঠকে সিদ্ধান্ত পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার পর ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার জবাবে পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার পাকিস্তানের রয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি (এনএসসি)। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বে বুধবার অনুষ্ঠিত জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাকিস্তানের নিরাপত্তাবিষয়ক সর্বোচ্চ এই কমিটি জানিয়েছে, তারা ভারতের আগ্রাসনের যথাযথ জবাব দেবে এবং সশস্ত্র বাহিনীকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ডন পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, এনএসসি জাতিসংঘ সনদের ৫১ অনুচ্ছেদ উদ্ধৃত করে বলেছে, পাকিস্তানের নিরীহ নাগরিকদের হত্যাকাণ্ড এবং দেশের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘনের প্রতিশোধ নেওয়ার পূর্ণ অধিকার তাদের রয়েছে। কমিটির বিবৃতিতে ভারতের ‘নগ্ন আগ্রাসন’-এর তীব্র নিন্দা জানানো হয় এবং দেশের জনগণ ও সেনাবাহিনীর সাহসিকতা ও প্রতিরক্ষা পদক্ষেপের প্রশংসা করা হয়। বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে পাকিস্তান বলেছে, ভারত আন্তর্জাতিক আইন ও নিয়ম ভেঙে যে কর্মকাণ্ড চালিয়েছে, তার জন্য জবাবদিহি করা উচিত। তারা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাসী হলেও দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যে কোনও পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। এর আগে, ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার প্রতিক্রিয়ায় বুধবার মধ্যরাতে মাত্র ২৫ মিনিটে পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মিরের অন্তত ৯টি স্থানে ২৪টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। ভারতের দাবি, এতে অন্তত ৭০ জন নিহত হয়েছে। তবে পাকিস্তান বলছে, নিহতের সংখ্যা ২৬। কাশ্মির সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলওসি) ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনাও ঘটেছে। এতে ভারত-শাসিত কাশ্মিরে অন্তত ১০ জন নিহত ও ৩০ জনের বেশি আহত হয়েছে। পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা ভারতের অন্তত পাঁচটি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামিয়েছে। যদিও ভারতের পক্ষ থেকে তিনটি বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

ভারতের হামলার প্রতিক্রিয়ায় পাল্টা জবাবের হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের, এনএসসির জরুরি বৈঠকে সিদ্ধান্ত