পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষ আছেন, যাদের শারীরিক শক্তি এতটাই অসাধারণ যে তারা ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিয়েছেন। তারা শুধু ভারোত্তোলনে দক্ষ নন, বরং আশ্চর্যজনক সব কীর্তি দেখিয়ে বিশ্বকে অবাক করেছেন। এই ফিচারে আমরা তুলে ধরছি পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী কিছু মানুষের গল্প।
আইসল্যান্ডের এই দানবাকৃতির মানুষটি ‘গেম অব থ্রোনস’-এর দ্য মাউন্টেন চরিত্রে অভিনয়ের জন্য পরিচিত হলেও, তিনি বাস্তবেও এক শক্তিমান ব্যক্তিত্ব। ২০২০ সালে তিনি ৫০১ কেজি ডেডলিফট তুলে বিশ্ব রেকর্ড গড়েন। তার উচ্চতা ৬ ফুট ৯ ইঞ্চি এবং ওজন প্রায় ২০০ কেজি, যা তাকে এক দৈত্যাকৃতির মানুষে পরিণত করেছে।
ব্রিটিশ শক্তিমান এডি হল ২০১৬ সালে ৫০০ কেজি (১,১০২ পাউন্ড) ডেডলিফট করে ইতিহাস গড়েছিলেন। এই রেকর্ড এক সময় অসম্ভব বলে মনে করা হতো। প্রচণ্ড শারীরিক পরিশ্রম এবং অবিশ্বাস্য মানসিক শক্তির ফলে তিনি এই রেকর্ড গড়তে সক্ষম হন।
১৯ শতকের অন্যতম শক্তিশালী মানুষ ছিলেন লুই সাইর। তিনি একবার দুই হাতে ১৮৮ কেজি ওজন তুলেছিলেন এবং মাত্র এক আঙুল দিয়ে ২২৭ কেজি ওজন ধরে রাখার রেকর্ড গড়েছিলেন। তার শক্তির গল্প এতটাই অবিশ্বাস্য যে তাকে কিংবদন্তি বলা হয়।
ব্রায়ান শ একজন আমেরিকান পাওয়ারলিফটার এবং শক্তিশালী প্রতিযোগী, যিনি চারবার ‘ওয়ার্ল্ডস স্ট্রংগেস্ট ম্যান’ খেতাব জয় করেছেন। তিনি একবার ৫০০ পাউন্ড ওজনের একটি পাথর তুলেছিলেন, যা একজন সাধারণ মানুষের কল্পনার বাইরে।
লিথুয়ানিয়ার এই শক্তিমান ব্যক্তি ‘স্ট্রংগেস্ট ম্যান ইন হিস্ট্রি’ উপাধি পেয়েছেন। তিনি একাধিকবার স্ট্রংগেস্ট ম্যান প্রতিযোগিতা জিতেছেন এবং প্রায় ৪০০ কেজি স্কোয়াট এবং ৪৬০ কেজি ডেডলিফট তুলতে সক্ষম হয়েছেন।
পল অ্যান্ডারসনকে ইতিহাসের অন্যতম শক্তিশালী মানুষ হিসেবে গণ্য করা হয়। ১৯৫৭ সালে তিনি ২৮৪০ কেজি স্কোয়াট লিফট করেন, যা এখনো অলিখিত বিশ্ব রেকর্ড হিসেবে পরিচিত।
এই ব্যক্তিরা প্রমাণ করেছেন যে মানুষের শারীরিক শক্তির সীমা ঠিক কতটা বিস্তৃত হতে পারে। তাদের এই অবিশ্বাস্য কীর্তি আজও বিশ্বের মানুষকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে।