পুতিন-ট্রাম্প “খুব দ্রুত” বৈঠকের সম্ভাবনা : ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধানের ইঙ্গিত?
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দ্রুত বৈঠকের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। এই বৈঠক রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর দুই দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে প্রথম সরাসরি আলোচনা হতে পারে। ট্রাম্প সোমবার (১৩ জানুয়ারি) নিজেই এক বক্তব্যে এ তথ্য জানান।
ট্রাম্প বলেছেন, “আমি পুতিনের সঙ্গে খুব দ্রুত দেখা করতে যাচ্ছি। তিনি নিজেও এটি চান। তবে এর আগে আমাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিতে হবে। কিছু কাজ করার জন্য আপনাকে সঠিক জায়গায় থাকতে হবে।”
যদিও বৈঠকের নির্দিষ্ট কোনো সময় উল্লেখ করেননি তিনি, তবে এটি সম্ভাব্যভাবে তার দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই হতে পারে। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ট্রাম্পের প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাওয়া কংগ্রেসম্যান মাইক ওয়াল্টজ বলেছেন, “আমরা আসন্ন দিন ও সপ্তাহগুলোতে ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপের প্রত্যাশা করছি।”
ইউক্রেন যুদ্ধ ইতোমধ্যেই বিশাল ক্ষয়ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাশিয়ার বাহিনী পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্কসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শহর দখল করে নিয়েছে। কিয়েভের দাবি, যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে এবং ন্যায্যতার ভিত্তিতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তবে রাশিয়া চারটি অঞ্চল, বিশেষ করে দোনেৎস্কের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছাড়তে চায় না। ফলে আপাতত কোনো পক্ষই সমঝোতায় যেতে প্রস্তুত নয়।
ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন জটিলতা এবং সমাধানের সম্ভাবনা উভয়ের সূচনা করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও এই বৈঠকের গুরুত্ব অসীম। সমালোচকরা মনে করছেন, এটি ট্রাম্পের রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রদর্শনের একটি সুযোগ।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বৈঠক সফল হলে এটি কেবল রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের সমাপ্তির দিকেই ইঙ্গিত দেবে না, বরং বিশ্ব মঞ্চে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার ভূমিকার নতুন দিক উন্মোচন করতে পারে। এখন দেখার বিষয়, বৈঠকটি কতটা কার্যকর হতে পারে এবং এর মাধ্যমে বিশ্ব শান্তির পথে কতদূর অগ্রসর হয়।