পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী
সিরিয়ার আলেপ্পো, ইদলিব ও হামা শহরে বিদ্রোহীদের আক্রমণের মুখে পিছু হটলেও পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছে সরকারি বাহিনী। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানা জানায়, বিদ্রোহীদের অগ্রযাত্রা থামাতে সিরীয় এবং রুশ বাহিনী সম্মিলিতভাবে বিমান হামলা চালাচ্ছে। ইদলিব ও আলেপ্পোতে এই হামলা কয়েক দিন ধরে অব্যাহত রয়েছে।
বিদ্রোহী গোষ্ঠী ‘মিলিটারি অপারেশন কমান্ড’ জানিয়েছে, রাজনৈতিক সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তাদের লড়াই চলবে। এদিকে, প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদ বিদ্রোহীদের “সন্ত্রাসী” আখ্যা দিয়ে মিত্র রাশিয়া ও ইরানের সহযোগিতায় প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তার ভাষায়, সিরিয়ায় স্থিতিশীলতা রক্ষা এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য।
বিদ্রোহীদের আক্রমণে আলেপ্পোর বেশ কিছু এলাকা তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের তথ্য অনুযায়ী, আলেপ্পোর অর্ধেক এখন বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) ও তাদের মিত্রদের হাতে। এই পরিস্থিতি আসাদ সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্র–সমর্থিত বিভিন্ন গোষ্ঠী, যার মধ্যে রয়েছে ফ্রি সিরিয়ান আর্মি ও সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস। এদিকে, রাশিয়া ও ইরানের সমর্থনে সরকারি বাহিনী ইদলিব ও আলেপ্পোতে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছে। গত কয়েক দিনে সিরিয়া ও রাশিয়ার বিমান হামলায় ২৫ জন নিহত হয়েছে বলে রুশ সংবাদমাধ্যম তাস নিশ্চিত করেছে।
বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুক্ত শক্তিশালী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে হায়াত তাহরির আল-শাম অন্যতম। এটি সাবেক আল–কায়েদা সমর্থিত আল-নুসরা ফ্রন্ট হিসেবে পরিচিত। বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর আক্রমণে দেশটির রাজনৈতিক ও সামরিক অস্থিতিশীলতা আরও বেড়ে চলেছে।
রাশিয়া ও ইরান তাদের সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ইরানের সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো সিরিয়ার বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকাও এই সংঘাতকে আরও জটিল করে তুলছে। সিরিয়া পরিস্থিতি বর্তমানে আসাদ সরকারের জন্য গত আট বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে।