যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক ইস্যুতে সরাসরি আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। নতুন করে তেহরানের ওপর ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের একদিন পর, মঙ্গলবার তিনি এই কঠোর অবস্থান জানান।
সোমবার যুক্তরাষ্ট্র ইরানের জাতীয় তেল সংস্থার প্রধানসহ দেশটির তেল বিক্রি ও পরিবহনে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩০টিরও বেশি জাহাজ ও বেশ কয়েকজন ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেয়। এর ঠিক পরের দিনই আরাঘচি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, ওয়াশিংটনের সঙ্গে এই ইস্যুতে কোনো আলোচনা হবে না।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ও ইরানের প্রতিক্রিয়া
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ইরানের ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের নীতি অব্যাহত রেখেছে। তারই অংশ হিসেবে নতুন নিষেধাজ্ঞাগুলো দেওয়া হয়েছে। তবে এই চাপের মুখে নতি স্বীকার করতে রাজি নয় তেহরান।
মঙ্গলবার ইরান সফরে আসেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। তেহরানে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আব্বাস আরাঘচি বলেন, “পারমাণবিক ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার কোনও সম্ভাবনা নেই। যতক্ষণ না মার্কিন প্রশাসন তাদের চাপের নীতি থেকে সরে আসে, ততক্ষণ আলোচনার প্রশ্নই ওঠে না।’’
তিনি আরও বলেন, “আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি, হুমকি, চাপ কিংবা নিষেধাজ্ঞার মধ্যে আমরা কোনো আলোচনা করব না।’’
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর তেহরান সফর
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের এই সফর কূটনৈতিকভাবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। ইরানের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, আঞ্চলিক পরিস্থিতি এবং ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তি (জেসিপিওএ) নিয়ে আলোচনা করতেই তিনি তেহরানে এসেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল ইরান। কিন্তু ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র একতরফাভাবে এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে গিয়ে তেহরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এরপর থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক উত্তপ্ত রয়েছে, যা সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
(সূত্র: রয়টার্স)