পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প, ইরান সংঘাতে সতর্ক বার্তা
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাতের মধ্যেই আজ বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে বৈঠকে বসছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের সঙ্গে। স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় হোয়াইট হাউসের কেবিনেট রুমে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
বৈঠকে অংশ নেবেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা মার্কো রুবিও এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। বৈঠক শেষে পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজনও করা হয়েছে বলে হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ইরান ও পাকিস্তানের পারস্পরিক সীমান্ত থাকায় চলমান ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে পাকিস্তান যেন কোনোভাবেই জড়িয়ে না পড়ে— এই বার্তাই দিতে চায় ট্রাম্প প্রশাসন। এছাড়া, ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যদি ইরানের সরাসরি যুদ্ধ শুরু হয়, তবে ইসলামাবাদ যেন তেহরানকে কোনোরকম সুবিধা না দেয়— সেটিও স্পষ্ট করে জানানো হবে আসিম মুনিরকে।
প্রসঙ্গত, ইরানের সঙ্গে পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য বেলুচিস্তানে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত ক্রসিং রয়েছে— গাওদার জেলার গাব্দ-রিমদান এবং চাঘি জেলার তাফতান। এসব সীমান্তের মাধ্যমে বাণিজ্যসহ সীমান্ত পারাপার হয়ে থাকে।
তবে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই পাকিস্তান এসব সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। পাকিস্তানি দৈনিক ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৩ জুন ইরানে ইসরায়েলের বিমান হামলার পরদিনই এক সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্রে যান আসিম মুনির, যিনি বর্তমানে পাকিস্তানের সবচেয়ে ক্ষমতাবান ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত।
এর আগে, ১৫ জুন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ মুসলিম বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানান, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একত্রিত হতে হবে। এই বিবৃতির মাত্র তিন দিনের মধ্যেই দেশটির সেনাপ্রধানকে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানাল ট্রাম্প প্রশাসন।
এই বৈঠককে আন্তর্জাতিক কূটনীতির দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।