পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকায় পুলিশের অভিযানের প্রেক্ষিতে অভিবাসীদের মানবিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন হওয়ার অভিযোগে একটি প্রতিবাদ র্যালির আয়োজন করা হয়েছে। গত ১১ জানুয়ারি শনিবার বিকেলে আলামেদা পার্ক থেকে শুরু হওয়া এই র্যালিতে পর্তুগিজ নাগরিকসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা অংশগ্রহণ করেন।
র্যালিতে অংশগ্রহণকারীরা বৈষম্য ও বর্ণবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে জানান, পর্তুগালে সবার অধিকার সমান। আয়োজক কমিটির সদস্য আনাবেলা রদ্রিগেজ বলেন, "পর্তুগাল ঐতিহাসিকভাবে বর্ণবাদবিরোধী দেশ। ১৯৭৪ সালে স্বৈরশাসনের পতনের পর এই দেশে ফ্যাসিজমের কোনো স্থান নেই।"
সমাজকর্মী ও আইনজীবী আনা লুইজা জানান, ১৯ ডিসেম্বরের ঘটনায় অভিবাসীদের প্রতি পুলিশের আচরণ অতিরঞ্জিত ছিল এবং এটি মানবিক মর্যাদাকে আঘাত করেছে। তিনি বলেন, "অভিবাসীদের অধিকারের প্রতি সংবিধানের সম্মান নিশ্চিত করা জরুরি। আমি সহমর্মিতা জানাতে এবং বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অংশ নিতে এখানে এসেছি।"
র্যালিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পক্ষে নেতৃত্ব দেন সাংবাদিক ও সমাজকর্মী ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। তিনি বাংলাদেশিদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, "পর্তুগালে সুনাগরিক হিসেবে নিজেদের ভূমিকা নিশ্চিত করা এবং বাংলাদেশের সুনাম ধরে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।"
গত ১৯ ডিসেম্বর, বাংলাদেশি অধ্যুষিত রাস্তা দুয়া দো বেনফরমোজোতে পর্তুগিজ পুলিশ বিশেষ অভিযান চালায়। এতে ৪০০-এর বেশি নারী-পুরুষকে প্রায় দুই ঘণ্টা দেওয়ালে দাঁড় করিয়ে রেখে তল্লাশি চালানো হয়। পরে সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হলেও এই ঘটনায় জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
র্যালি শেষে স্থানীয় পার্কে আয়োজকেরা এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন। পর্তুগিজ নাগরিকদের এ ধরনের অংশগ্রহণ অভিবাসীদের প্রতি মানবিক সহমর্মিতার দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।