পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা ও আস্থাভোটের চ্যালেঞ্জ
পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী লুইস মন্টিনিগ্রো অর্থনৈতিক সুবিধা গ্রহণের অভিযোগের মুখে জাতীয় সংসদে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দুটি পৃথক অনাস্থা প্রস্তাবের মুখোমুখি হন। যদিও সরকার উভয় অনাস্থা প্রস্তাবে টিকে গেছে, তবে সামনের সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে অনুষ্ঠিতব্য আস্থা ভোটে সরকারের পরাজয়ের আশঙ্কা রয়েছে।
গত বুধবার (৫ মার্চ) পিসিপি দল সংসদে সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে, যা সোশ্যালিস্ট পার্টি ও শেগা পার্টির ভোটদানে বিরত থাকার কারণে ব্যর্থ হয়। এর আগে, গত সপ্তাহে শেগা পার্টিও অনুরূপ প্রস্তাব তুলেছিল, যা একইভাবে ভেস্তে যায়।
সরকার আপাতত টিকে থাকলেও প্রধানমন্ত্রী সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী আস্থা ভোটের আয়োজন করেছেন, যা মন্ত্রিসভার অনুমোদন সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে এবং এরপর সংসদে ভোটাভুটি হবে। রাষ্ট্রপতি মার্সেলো রেবেলো ডে সজা সতর্ক করে বলেছেন, যদি আস্থা ভোটে সরকার ব্যর্থ হয়, তাহলে আগামী ১১ থেকে ১৮ মে নতুন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
প্রধান বিরোধী দল সোশ্যালিস্ট পার্টির নেতা পেদ্রো নুনু সন্তোষ দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রী তার অবস্থান স্পষ্ট করছেন না এবং পার্লামেন্টের জবাবদিহি এড়াতে আস্থা ভোট আহ্বান করেছেন। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী সংসদে দেওয়া বক্তব্যে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি কোনো অবৈধ সুবিধা গ্রহণ করেননি। তিনি বিরোধী দলগুলোর বিরুদ্ধে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগও করেন।
প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পারিবারিক ব্যবসা থেকে অবৈধ সুবিধা নেওয়া এবং কিছু প্রতিষ্ঠানকে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ফলে পর্তুগালের জাতীয় সংসদ ও গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে উত্তপ্ত আলোচনা চলছে।