নেতানিয়াহু ‘নোংরা খেলা’ খেলছেন: হামাস
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার শাসক সংগঠন হামাস অভিযোগ করেছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতি চুক্তি নস্যাৎ করার জন্য ‘নোংরা খেলা’ খেলছেন। হামাসের দাবি, ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে চুক্তির দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনায় আসছে না, যা শান্তি প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
আগামী ১ মার্চ যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। এর আগেই পরবর্তী ধাপ নিয়ে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছানোর কথা থাকলেও নেতানিয়াহুর সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন হামাসের রাজনৈতিক শাখার জ্যেষ্ঠ নেতা বাসেম নাঈম। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, আবারও চুক্তিকে গুরুত্বহীন করার নোংরা খেলা চলছে। এর মাধ্যমে ইসরায়েল নতুন করে যুদ্ধে ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছে।”
হামাস দাবি করেছে, তারা যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে, কিন্তু ইসরায়েল একাধিকবার চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। বাসেম নাঈম বলেন, “চুক্তি কার্যকর থাকার সময়ই শতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া, গাজায় পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা প্রবেশের প্রতিশ্রুতি থাকলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।”
শনিবার হামাস ছয়জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিলেও চুক্তি অনুযায়ী ৬২০ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে ইসরায়েল এখনো মুক্তি দেয়নি। এই প্রসঙ্গে নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ জিম্মিদের মুক্তির ঘটনা ছিল ‘অপমানজনক’, তাই এখনই ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হবে না।
হামাস বলছে, ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্ত যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎকে আরও অনিশ্চিত করে তুলেছে। ১৬ মাসের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। চুক্তি অনুযায়ী, হামাসকে ৪২ দিনের মধ্যে ৩৩ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে, আর বিনিময়ে ১,৯০০ ফিলিস্তিনি বন্দী মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। তবে নেতানিয়াহুর সাম্প্রতিক পদক্ষেপ চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে সন্দেহ তৈরি করেছে।