নারায়ণগঞ্জে চেম্বার পরিচালক ও সাবেক শিবির সভাপতি গোলাম সারোয়ার সাঈদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা, বিএনপি-আওয়ামীপন্থী নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ
নারায়ণগঞ্জে চেম্বার পরিচালক ও সাবেক শিবির সভাপতি গোলাম সারোয়ার সাঈদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা: বিএনপি-আওয়ামীপন্থী নেতাদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ।
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জে ছাত্রশিবিরের সাবেক মহানগর সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক গোলাম সারোয়ার সাঈদের ওপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে শহরের চাষাঢ়া এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীর ঘনিষ্ঠজনদের ভাষ্যমতে, হামলাটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত। সরাসরি উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন রানা এবং সাবেক কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা শওকত হাশেম শকু।
এছাড়া হামলায় অংশ নেয় আরও কয়েকজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তাদের মধ্যে রয়েছেন:
কাউসার (৩৭), পিতা: শাহাবুদ্দিন, গ্রাম: দিঘলদী (রশিদ মেম্বারের বাড়ির পাশে), থানা: বন্দর।
জানা গেছে, কাউসার বিখ্যাত রাজনৈতিক ব্যবসায়ী আজমীর ওসমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী।
তাজুল ইসলাম (৩৮), পিতা: ইবরাহীম, গ্রাম: সেলসারদি স্কুলের পেছনে, থানা: বন্দর।
নুরুজ্জামান, বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবক দলের ১৮নং ওয়ার্ড সভাপতি হলেও পূর্বে তিনি আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ পরিচয়ে এলাকায় পরিচিত ছিলেন। উল্লেখ্য যে, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই নারায়ণগঞ্জে ছাত্রদের ওপর গুলি চালানোর ঘটনায় সরাসরি তার নাম উঠে এসেছিল। তিনি শামীম ওসমানের সঙ্গে সরাসরি ঘনিষ্ঠ বলেও অভিযোগ রয়েছে।
ঘটনার পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ছাত্রশিবির নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীরা তীব্র ক্ষোভ ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তারা বলেন,
“শান্তিপূর্ণভাবে নিজের ডেভেলপমেন্ট ব্যবসার প্রজেক্ট অধিগ্রহণকালে রাজনৈতিকভাবে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপি দলীয় ভূমিদস্যু ক্যাডার কতৃক পরিকল্পিতভাবে আমাদের সিনিয়র ভাইয়ের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। প্রশাসন যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়, তা হলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হতে পারে।”
এক বিবৃতিতে তারা আরও বলেন,
“এই হামলা নারায়ণগঞ্জের শান্ত রাজনৈতিক পরিবেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং দ্রুত জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানাচ্ছি।”
গোলাম সারোয়ার সাঈদের ওপর হামলার ঘটনা নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক পরিসরে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে স্থানীয় পর্যায়ে অস্থিরতা আরও বাড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল।