নায়ক নিরবের সংসারে ভাঙনের গুঞ্জন!
ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা নিরব হোসেনের সংসারে ভাঙনের সুর শোনা যাচ্ছে। ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর তিনি ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন কাসফিয়া তাহের চৌধুরী ঋদ্ধিকে। সে সময় ঋদ্ধি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্যবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। কিন্তু এ বিয়ে মেনে নিতে পারেনি ঋদ্ধির পরিবার। দীর্ঘ ১০ মাস প্রেম করার পর পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন নিরব ও ঋদ্ধি। এর ফলে ঋদ্ধির বাবা নিরবের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ এনে মামলা করেন। এ ঘটনার পর টানা ১৫ দিন গোপনে থাকতে হয় তাদের। পরে হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার পর প্রকাশ্যে আসেন এই দম্পতি।
আগামী ২৬ ডিসেম্বর তাদের দাম্পত্য জীবনের ১১ বছর পূর্ণ হতে চলেছে। তবে এর মধ্যেই তাদের সংসারে অশান্তি শুরু হয়েছে। সম্প্রতি নিরবের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছেন তার স্ত্রী ঋদ্ধি। বুধবার (২৭ নভেম্বর) ফেসবুকে পরপর দুটি স্ট্যাটাসে তিনি এসব অভিযোগ তোলেন।
প্রথম স্ট্যাটাসে ঋদ্ধি লেখেন, “বউ-বাচ্চা ফেলে রেখে কীভাবে দেশের বাইরে গিয়ে এক্স-গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়, সেটা শিগগিরই প্রকাশ করব। যদি আমার ও আমার সন্তানের জীবন অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে, তবে কোনো পরকীয়া করা ব্যক্তিকে ভালো মানুষের মুখোশ পরে থাকতে দেব না।”
দ্বিতীয় স্ট্যাটাসে ঋদ্ধি নিরবকে ধন্যবাদ জানিয়ে লেখেন, “ধন্যবাদ, আমাকে দীর্ঘ সময় সহ্য করার জন্য। আমি জানি, আপনাকে আমার কখনোই পছন্দ ছিল না। বিগত ১১ বছরে আমি একদিনের জন্যও আপনার ভালোবাসার মানুষ ছিলাম না। অথচ আপনি আমার জন্য সব ছিলেন। দাঁতে দাঁত চেপে অনেক সুন্দরী নারীকে হারানোর কষ্ট নিজের মধ্যে চেপে রেখেও আমার সঙ্গে ছিলেন। এজন্য আমি কৃতজ্ঞ।”
স্ট্যাটাসে আরও উল্লেখ করেন, “আজ থেকে আপনি পুরোপুরি কদাকার সঙ্গহীন হলেন। আমার উপস্থিতি আপনার জীবনে আর কোনো দিন থাকবে না। আল্লাহর কাছে দোয়া করি, আপনি আপনার যোগ্য সঙ্গী খুঁজে পান। আমি আর কখনো আপনাকে বিরক্ত করব না।”
নিজের কষ্ট ও ভেঙে পড়ার অনুভূতি তুলে ধরে ঋদ্ধি লেখেন, “২০১৪ সালে আপনি আমার জীবনে আসার পর থেকে আমি সব সময় আপনাকে প্রাধান্য দিয়েছি। কিন্তু এখন আমি আর পারছি না। আপনার নতুন সঙ্গীকে সহ্য করার শক্তি আল্লাহ যেন আমাকে দেন।”
এদিকে, নিরব বর্তমানে দুই মাসের বিদেশ সফরে রয়েছেন। সেখানে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন তিনি। স্ত্রীর এই অভিযোগের বিষয়ে নিরব কোনো মন্তব্য করেননি। ঋদ্ধি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার কিছু সময় পর তার অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাক্টিভ পাওয়া যায়। দম্পতির সংসারে দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে।