নতুন দলের শীর্ষ পদে ‘সমঝোতা’, শিগগিরই নাম ঘোষণা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন রাজনৈতিক দলের নাম চলতি মাসেই ঘোষণা করা হবে। নতুন দলের আহ্বায়ক হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের নাম চূড়ান্ত হয়েছে। তবে দলের অন্যান্য শীর্ষ পদ নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে এবং সব পক্ষকে সন্তুষ্ট রাখতে সমঝোতার প্রচেষ্টা চলছে।
নতুন দল ঘোষণার আগে নাহিদ ইসলাম সরকারের পদ থেকে ইস্তফা দেবেন। এদিকে, ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক নেতাদের পদ পাওয়া নিয়ে বিরোধ দেখা দেওয়ায় শীর্ষ পদের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মূলত আহ্বায়ক, সদস্য সচিব, মুখ্য সংগঠক এবং মুখপাত্রের পাশাপাশি নতুন পদ সংযোজনের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে।
গত কয়েকদিনে বিরোধ মেটাতে একাধিক বৈঠক হয়েছে, যেখানে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব পদ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মাধ্যমে ছাত্র শিবিরের সাবেক নেতাদের নতুন দলে অন্তর্ভুক্ত করার পথ তৈরি হচ্ছে।
নতুন দলের সদস্য সচিব পদে আখতার হোসেনের নাম প্রায় চূড়ান্ত। মুখ্য সংগঠক ও মুখপাত্র পদে আসতে পারেন সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ। ছাত্র শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি আলী আহসান জোনায়েদের নাম জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক পদে বিবেচনায় আছে, আর জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব হতে পারেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
শীর্ষ ছয়টি পদের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে পারেন নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, তাসনিম জারা ও আরিফুল ইসলাম আদীব, যুগ্ম সদস্য সচিব অনিক রায়, মাহবুব আলম ও অলিক মৃ। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদকেও দলের শীর্ষ পর্যায়ে দেখা যেতে পারে।
আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে নতুন রাজনৈতিক দলটির আত্মপ্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। দল গঠনের অন্যতম নীতিমালা হবে ‘স্টুডেন্টস ফার্স্ট’ ও ‘বাংলাদেশ ফার্স্ট’—এই মূলমন্ত্রকে সামনে রেখে ছাত্র ও নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করবে সংগঠনটি।