মঙ্গলবার, ১লা জুলাই, ২০২৫| দুপুর ১২:০৬

দোহায় শীর্ষস্থানীয় বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক

প্রতিবেদক
staffreporter
এপ্রিল ২৪, ২০২৫ ৫:২৮ অপরাহ্ণ
দোহায় শীর্ষস্থানীয় বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক

দোহায় শীর্ষস্থানীয় বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক

বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী ও বৈশ্বিক বাজারের সঙ্গে সংযুক্ত করতে উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই লক্ষ্যেই কাতারের দোহায় এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সকালে, যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রভাবশালী বিনিয়োগকারীরা উপস্থিত ছিলেন।
কারা ছিলেন এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে?
এই বৈঠকে অংশগ্রহণকারীদের তালিকাটি বেশ গুরুত্ববহ। ছমালদ্বীপের প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রীমালয়েশিয়ার রাজপরিবারের সদস্যএকজন প্রাক্তন মন্ত্রীকাতার রাজপরিবারের প্রভাবশালী সদস্য, শীর্ষস্থানীয় আন্তর্জাতিক ব্যাংকার, এবং কয়েকজনধনী অনাবাসী বাংলাদেশি। এত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যতের প্রতি তাদের আগ্রহের ইঙ্গিত দেয়।
বাংলাদেশের বিনিয়োগ সম্ভাবনার কথা তুলে ধরলেন ইউনূস
প্রধান উপদেষ্টা বিনিয়োগকারীদের সামনে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি বলেন“অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশকে একটি উৎপাদন ও অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে। আমরা এমন এক পরিবেশ তৈরি করছি, যেখানে বিদেশি বিনিয়ো স্বাগত জানানো হবে সর্বোচ্চ সুবিধা ও স্বচ্ছতায়।”তিনি আরও জানান, সরকার চায় বাংলাদেশকে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ উৎপাদনশীল দেশ রূপান্তর করতে। এজন্য পর্যটন, জ্বালানি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ব্যাংকিং, উৎপাদন খাতে অভাবনীয় সুযোগ রয়েছে— বিশেষকক্সবাজারের রিসোর্ট জোন বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি বিশাল সম্ভাবনার ক্ষেত্র।
বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ
বৈঠকে উপস্থিত বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও বাংলাদেশের সম্ভাবনা দেখে মুগ্ধতা প্রকাশ করেন। তারা বিভিন্ন খাতে— বিশেষ করপর্যটন, বিদ্যুৎ, শিল্প উৎপাদন ও ব্যাংকিং সেক্টরে সম্ভাব্য বিনিয়োগ নিয়ে আগ্রহ দেখিয়েছেন। কক্সবাজারের সমুদ্রতীরবর্তী অঞ্চলকে আন্তর্জাতিক মানের রিসোর্ট হিসেবে গড়ে তোলার ধারণা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ
বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বল“আপনারা সরাসরি বাংলাদেশে এসে ব্যবসায়িক পরিবে পরিদর্শন করুন এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে বৈঠকে অংশগ্রহণ করুন। তবেই বুঝতে পারবেন, বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য কতটা প্রস্তুত।”বৈঠকে আরও যারা ছিলেন
বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এবং সিনিয়র সচিব লামিয়া মোর্শেদ উপস্থিত ছিলেন। পুরো আলোচনা ছিল আন্তরিক ও ফলপ্রসূ, যা ভবিষ্যতে বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৈদেশিক বিনিয়োগের দুয়ার খুলে দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে সরকারের এমন পদক্ষেপ দেশবাসীর জন্য যেমন আশাব্যঞ্জক, তেমনি আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের অবস্থানকেও আরও দৃঢ় করবে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - বানিজ্য ও অর্থনীতি

আপনার জন্য নির্বাচিত

গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায়

ইনোভেশন শোকেসিং ২০২৫: গ্রামীণ পর্যায়ে উদ্ভাবন ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান

ইনোভেশন শোকেসিং ২০২৫: গ্রামীণ পর্যায়ে উদ্ভাবন ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান

ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর: আইন মন্ত্রণালয়

ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর: আইন মন্ত্রণালয়

নতুন দলের শীর্ষ পদে ‘সমঝোতা’, শিগগিরই নাম ঘোষণা

নতুন দলের শীর্ষ পদে ‘সমঝোতা’, শিগগিরই নাম ঘোষণা

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আকাশ যুদ্ধঃ ব্যাটল অফ ব্রিটেন

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আম খাওয়া কি ঝুঁকিপূর্ণ? বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন বাজারে উঠেছে গ্রীষ্মের অমীয় স্বাদ—ফলের রাজা আম। এটি যেমন সুস্বাদু, তেমনি প্রি-বায়োটিক, ডায়েটারি ফাইবার, ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। এতে ভিটামিন এ, বি, সি ও ই সহ ২০ ধরনের ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তবে আমের প্রাকৃতিক মিষ্টতা নিয়ে ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে থাকে দুশ্চিন্তা—আসলে তাঁরা আম খেতে পারবেন কিনা। এই বিষয়ে ফরাজি হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক লিমিটেডের পুষ্টিবিদ নাহিদা আহমেদ বলেন, ডায়াবেটিস রোগীরা একেবারেই আম খেতে পারবেন না—এমন ধারণা সঠিক নয়। বরং শর্করাযুক্ত অন্যান্য খাবারের পরিমাণ কমিয়ে সামঞ্জস্য রেখে আম খাওয়া যেতে পারে। উদাহরণ হিসেবে, সকালের নাশতায় যাঁরা তিনটি রুটি খান, তাঁরা একটি রুটি বাদ দিয়ে একটি আম খেতে পারেন। আবার যারা চিড়া খান, তাঁরা পরিমাণ এক-তৃতীয়াংশ কমিয়ে আম যুক্ত করতে পারেন। রাতের খাবারে অনেকেই আম দিয়ে দুধ-ভাত খেতে পছন্দ করেন। সে ক্ষেত্রে ভাতের পরিমাণ অর্ধেক কমিয়ে নেওয়া উচিত এবং এই খাবারটি সন্ধ্যার মধ্যেই শেষ করা ভালো। কারণ রাতে ক্যালোরি খরচের সুযোগ কম থাকে। অন্যদিকে, সকালে আম খেলে সারাদিনের কাজে সেই ক্যালোরি খরচ হয়ে যায়। পাকা আম খাওয়ার পর অন্তত ১ ঘণ্টা হাঁটার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। একজন ডায়াবেটিস রোগী প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৫০–৬০ গ্রাম আম খেতে পারেন, অর্থাৎ একটি ছোট আম বা অর্ধেক মাঝারি আম। বাংলাদেশ মাল্টিকেয়ার হাসপাতাল ও ইবনেসিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টারের ডায়াটিশিয়ান ও নিউট্রিশন কনসালটেন্ট ফাতেমা সিদ্দিকী ছন্দা জানান, আম লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) সম্পন্ন একটি ফল, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আদর্শ স্ন্যাকস হতে পারে। এতে থাকা আঁশ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া আমে থাকা ভিটামিন এ এবং সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, আর পটাশিয়াম হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। তবে ছন্দা সতর্ক করে বলেন, ডায়াবেটিস রোগীদের দিনে একটির বেশি আম না খাওয়াই ভালো। কারণ আমের মিষ্টি উপাদান রক্তে চিনির পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই আম খাওয়ার পর ব্লাড সুগার বেড়ে যাচ্ছে কিনা তা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করাও জরুরি। সুতরাং, ডায়াবেটিস থাকলেও নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় ও সময় জেনে আম খাওয়া যেতে পারে—বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আম খাওয়া কি ঝুঁকিপূর্ণ? বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন

কাশ্মিরে উত্তেজনা প্রশমনে ভারত-পাকিস্তান সেনা প্রত্যাহারে একমত

কাশ্মিরে উত্তেজনা প্রশমনে ভারত-পাকিস্তান সেনা প্রত্যাহারে একমত

ইতিহাসের এই দিনে (১ জুলাই, ২০২৫)

ইতিহাসের এই দিনে (১২ মে, ২০২৫)

শেখ হাসিনার সম্মানসূচক ডিগ্রি বাতিলের বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যালোচনা

শেখ হাসিনার সম্মানসূচক ডিগ্রি বাতিলের বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যালোচনা

বোম্বে সুইটসে ট্রেইনি জোনাল ম্যানেজার পদে নিয়োগ, আবেদন ২ জুন পর্যন্ত

বোম্বে সুইটসে ট্রেইনি জোনাল ম্যানেজার পদে নিয়োগ, আবেদন ২ জুন পর্যন্ত