জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নায়েবে আমির আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী অন্তিমকালে জান্নাতে যাবার সময় তার মুখের হাসিটি ছিল জালিমের বিরুদ্ধে নীরব প্রতিবাদ। এ কথা বলেছেন সাঈদীর মেজো ছেলে শামীম বিন সাঈদী। তিনি গত ১ জানুয়ারি রাতে চট্টগ্রামের মীরসরাই সোবহানিয়া দরবার শরীফের ১১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঐতিহাসিক আজিমুশ্শান ওয়াজ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব মন্তব্য করেন।
শামীম সাঈদী তার বক্তব্যে বলেন, "কুরআনের পাখিকে জেলখানা থেকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলো হার্টঅ্যাটাকের কথা বলে। হার্টঅ্যাটাকের রোগী হুইলচেয়ারে চলে নাকি স্ট্রেচারে শুয়ে থাকে?" তিনি আরও বলেন, "সেদিন তিনি এত সুন্দর মিষ্টি মধুর হাসি দিলেন। এর আগে কি কখনো এত সুন্দর হাসি দেখেছেন তার? আমি দেখি নাই।" শামীম বলেন, তার বাবা সাঈদী জান্নাতে যাবার আগে সারা পৃথিবীর মানুষকে সেই হাসির মাধ্যমে সালাম দিয়ে বিদায় নিয়েছিলেন, যা ছিল অত্যাচারী জালিম হাসিনার বিরুদ্ধে তার নীরব প্রতিবাদ।
শামীম সাঈদী আরও যোগ করেন, "৫ মে আলেমদের শাপলা চত্বরে নিয়ে লাইট অফ করে দিয়ে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আলেম ওলামাদের রক্ত বৃথা যাবে না। এই বাংলার মাটিতে ইসলামের পতাকা, কালেমার পতাকা উড্ডয়ন হবেই হবে ইনশাআল্লাহ।"
এ অনুষ্ঠানে সোবহানিয়া জামেয়া-ই-নাছেরিয়া ট্রাস্ট ময়দানে অনুষ্ঠিত মাহফিলে বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসিরিনের সহ-সভাপতি ও সোবহানিয়া কমপ্লেক্সের মীরসরাইয়ের পীর সাহেব শাহ আল্লামা আবদুল মোমেন নাছেরী সভাপতিত্ব করেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশেষ মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদিন প্রমুখ।