দাদের যন্ত্রণা থেকে মুক্তির উপায় নিয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
দাদের সমস্যায় কমবেশি অনেকেই ভোগেন। এটি একটি ছত্রাকজনিত সংক্রমণ, যা শরীরের যেকোনো অংশে হয়ে তীব্র চুলকানি ও অস্বস্তির কারণ হয়। জনসম্মুখে এমন চুলকানি শুধু শারীরিক নয়, মানসিক বিরক্তিরও সৃষ্টি করে। ফলে অনেকে দেরি না করে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন।
চিকিৎসকদের মতে, দাদ একটি সংক্রামক সমস্যা। এটি একাধিক ধরনের ছত্রাকের কারণে হতে পারে, যার সংখ্যা প্রায় ৪০। সাধারণত উরু, কুঁচকি, ঘাড়, নিতম্ব বা এমনকি শরীরের যেকোনো স্থানে গোলাকার চিহ্ন আকারে দাদ দেখা দেয়। কেউ একজন আক্রান্ত হলে তার ব্যবহৃত পোশাক, তোয়ালে, কম্বল কিংবা বিছানার চাদর অন্য কেউ ব্যবহার করলে সেটিও সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি করে।
কেন হয় দাদ?
দাদ মূলত ছত্রাকের সংক্রমণ। এটি স্যাঁতসেঁতে, ঘামযুক্ত এবং অপরিষ্কার জায়গায় বেশি দেখা যায়। ঘন ঘন কাপড় না ধোয়া, শরীর অপরিষ্কার রাখা, অন্যের ব্যবহৃত জিনিস ব্যবহার করা – এসব থেকেই দাদ ছড়াতে পারে।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী কী করবেন?
- দাদ হলে নিজের পোশাক, তোয়ালে ও বিছানার চাদর প্রতিদিন ভালোভাবে ধুয়ে ব্যবহার করুন।
- শরীর সবসময় পরিষ্কার ও শুকনো রাখুন।
- সুগন্ধযুক্ত ও কেমিক্যালযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার এড়িয়ে চলুন, এগুলো সংক্রমণ বাড়াতে পারে।
- আক্রান্ত স্থানে ঘষা বা চুলকানি না করে অ্যান্টিফাংগাল ওষুধ ব্যবহার করুন চিকিৎসকের পরামর্শে।
- কারও সঙ্গে পোশাক, তোয়ালে বা কম্বল ভাগাভাগি করবেন না।
ঘরোয়া প্রতিকার
ঘরোয়া পদ্ধতিতে প্রাথমিকভাবে দাদ থেকে আরাম পাওয়া সম্ভব। যেমন—
- কয়েক কোয়া রসুন কুচিয়ে তার রস বের করুন।
- এতে ১ চা চামচ নারিকেল তেল বা জলপাই তেল মিশিয়ে নিন।
- আক্রান্ত স্থানে দিনে দুইবার এই মিশ্রণ লাগান।
- সাধারণত ৩–৪ দিনের মধ্যে উপকার পাওয়া যায়।
তবে দাদ যদি বারবার ফিরে আসে বা বড় আকারে ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কারণ অনিয়ন্ত্রিত সংক্রমণ বড় কোনো ত্বক রোগের দিকে গড়াতে পারে।