দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন দেশটির একটি আদালত। এই পরোয়ানাটি মঙ্গলবার অনুমোদিত হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
২০২২ সালের ৩ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারির পর জনগণের তীব্র প্রতিবাদে ছয় ঘণ্টার মাথায় তা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন ইউন। এর পর ১৪ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্ট তাকে অভিশংসিত করে এবং প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার সাংবিধানিক আদালত যদি তার অভিশংসন বহাল রাখে, তবে তাকে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে অপসারণ করা হবে।
উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের দুর্নীতির তদন্তকারী কার্যালয় (সিআইও) জানিয়েছে, সিউল ওয়েস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট আদালত ইউনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির জন্য তদন্তকারীদের আবেদন মঞ্জুর করেছে। তদন্তকারীরা সামরিক আইন জারি করার বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছেন।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে এটি প্রথম কোনো বর্তমান প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলো। আদালত কী যুক্তিতে এই পরোয়ানা অনুমোদন করেছেন, সে সম্পর্কে সিআইও কোনো মন্তব্য করেনি এবং আদালতও এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
তদন্তের অংশ হিসেবে আদালত ইউনের বাসভবনে তল্লাশির পরোয়ানা অনুমোদন করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ তার অফিসে অভিযান চালানোর চেষ্টা করেছিল, কিন্তু প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সংস্থার বাধার কারণে তারা সফল হয়নি।
ইউনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগের তদন্ত চলছে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সংস্থা জানিয়েছে, তারা যথাযথ প্রক্রিয়া অনুযায়ী গ্রেপ্তারি পরোয়ানাটি বিবেচনা করবে।
ক্ষমতাসীন পিপল পাওয়ার পার্টির ভারপ্রাপ্ত নেতা কেওন সিওং-ডং বলেছেন, একজন বর্তমান প্রেসিডেন্টকে আটক করার চেষ্টা ঠিক নয়, যা রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে।