ত্রিপুরায় এক বছরে ৭০০ জনের বেশি বাংলাদেশি গ্রেপ্তার
ত্রিপুরা রাজ্যে গত তিন বছরে (২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত) ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করে অবৈধভাবে প্রবেশের দায়ে ২,৮১৫ জন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ত্রিপুরা বিধানসভায় উপস্থাপিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এই সময়কালে গ্রেপ্তার হওয়া ২,৮১৫ জন বাংলাদেশি নাগরিকের মধ্যে ২,৬০৪ জনকে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। অবশিষ্ট ২১১ জনের বিষয়ে আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
ত্রিপুরা রাজ্যের পশ্চিমবঙ্গের পর বাংলাদেশের সঙ্গে ৮৫৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। সীমান্তের বেশিরভাগ অংশ কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে সুরক্ষিত হলেও, কিছু স্থানে স্থানীয় বিরোধের কারণে এখনও বেড়া স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। এই অনিরাপদ স্থানগুলি অবৈধ অনুপ্রবেশের জন্য ব্যবহৃত হতে পারে।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ত্রিপুরায় ১২ জন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
এছাড়াও, পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গিতে ২৫ কেজি গাঁজাসহ এক বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়।
কলকাতায় আরেকটি ঘটনায়, এক বাংলাদেশি যুবতীকে ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়, যেখানে ওই যুবতীও জাল নথি ব্যবহারের অভিযোগে গ্রেপ্তার হন।
ভারতে বাংলাদেশি নাগরিকদের অবৈধ অনুপ্রবেশের পাশাপাশি মানব পাচার ও নির্যাতনের ঘটনাও উদ্বেগজনক। একটি ঘটনায়, ভারতে এক বাংলাদেশি তরুণীকে যৌন নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর বাংলাদেশে নারী পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
ত্রিপুরায় বাংলাদেশি নাগরিকদের অবৈধ অনুপ্রবেশ ও সংশ্লিষ্ট অপরাধমূলক কার্যক্রম সীমান্ত নিরাপত্তা ও মানবাধিকার সংক্রান্ত গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করছে। সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা, স্থানীয় জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং উভয় দেশের মধ্যে সমন্বিত প্রচেষ্টা এই সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।